পিরোজপুরের জেলা পরিষদ মার্কেটের সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে। নিহত চাচার নাম নিহত জিয়াউল ইসলাম জিকু (৩০)। তিনি নাজিরপুর উপজেলার উদয়তারা এলাকার দলিল উদ্দিন খানের ছেলে ও পৌর শহরের মধ্যরাস্তা এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে থেকে মাছের ব্যবসা করতেন।
এদিকে এ ঘটনায় পিরোজপুরের শিকারপুর এলাকা থেকে শুক্কুর নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত জিকুর স্ত্রী লিমা আক্তার জানান, তার (জিকুর) সঙ্গে ভাতিজা মামুনের আর্থিক লেনেদেন ছিল। মঙ্গলবার ভাতিজা মামুনের কাছে জিকু পাওনা টাকা চাইলে তার সঙ্গে হাতাহাতি হয়। এ সময় মামুন তাকে দেখিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় বলে লিমা জানান।
তিনি আরও জানান, রাত পৌনে ১২টার দিকে জিকু বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে শহরের জেলা পরিষদ মার্কেটের কাছে হাজী বিরিয়ানি হাউসের সামনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ভাইপো মামুন ও তার তিন সহযোগী শুক্কুর, পলাশ ও সুবেল তার ওপর হামলা চালায়। আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে নিহতের বড়ভাই আমির হোসেন জানান, হত্যাকারী মামুন বিভিন্ন সময় জিকুর কাছে টাকা চাইতো এবং তা দিতে না পারায় এর আগে একাধিকবার তাকে মারধর করা হয়।
আমার ভাই পিরোজপুরের মধ্যরাস্তা এলাকায় ভাড়া থেকে বাজারে মাছের ব্যবসা করত। সে রাতে ব্যবসা গুছিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। পথে আমার ভাইকে মোড়েলগঞ্জের হোগলাপাশা এলাকার মোজাম্মেলের ছেলে মামুন হঠাৎ বিরিয়ানি খেতে দোকানে ডাক দেয়। সে এগিয়ে গেলে কিছু বোঝার আগেই পেছন থেকে দা দিয়ে কোপ দেয় মামুন।
পরে সিআইপাড়া এলাকার সজীব মীর (২৪) তাকে উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। আমি ভাইয়ের হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের দাবি জানাই। পিরোজপুর সদর থানার ওসি আ জা মো. মাসুদুজ্জামান জানান, ঘটনাস্থল পুলিশ পরিদর্শন করা হয়েছে। ঘটনার পর পরই পিরোজপুর সদর থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে ঘটনায় একজনকে আটক করেছে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী লিমা আক্তার বাদী হয়ে পিরোজপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে। লাশ ময়নাতদন্তে পাঠানো হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
Development by: webnewsdesign.com