পলাশবাড়ীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের ব্যাপক অনিয়ম নির্বাহী প্রকৌশলীর সরেজমিন পরিদর্শন

বৃহস্পতিবার, ০৬ জানুয়ারি ২০২২ | ৯:০৮ অপরাহ্ণ

পলাশবাড়ীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের ব্যাপক অনিয়ম নির্বাহী প্রকৌশলীর সরেজমিন পরিদর্শন
apps

গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার ৩ তিনটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম করা হয়েছে। এমন অভিযোগ উঠার পর রংপুর বিভাগীয় নির্বাহী প্রকৌশলী মুনসুর আলী উপজেলার হরিণমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,রামচন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বড় গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণের কাজ গুলো পরিদর্শন করেন এবং প্রাথমিক ভাবে কাজের মান যাচাই করেন। এসময় কাজের দৃশ্যমান অনিয়ম হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। ৬ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার দুপুরে  নির্মাণাধীন ভবন গুলো পরিদর্শন কালে উপজেলা প্রকৌশলী তাহাজ্জদ হোসেন,অন্যান্য সহকারি প্রকৌশলীরাসহ উপজেলার গণমাধ্যমকর্মীগণ ও ঠিকাদারগণ উপস্থিত ছিলেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা ও জানা যায়,উপজেলা প্রকৌশলী তাহাজ্জত হোসেন ও সহকারি প্রকৌশলীদের উপস্থিতিতে ব্যাপক অনিয়ম করে কাজ করার ফলে ভবনের নিচের বিম গুলো বাকা হয়েছে ও বিম উপরে অংশের চেয়ে নিচের অংশ ঢলে নেমে এসেছে। ভবনের ঢালাই কাজে স্টিলের সার্টার ব্যবহার করার বদলে কাঠের সার্টার দিয়ে দায়সারা ঢালাই কাজ করায় ভবনের নিচের থাকা ও বাহিরের বিমগুলো ব্যাপক ভাবে বাকা হয়েছে এবং ঢলে এসেছে। ভবনের বিম ও পিলার গুলোতে রিং রড ব্যবহার করা হচ্ছে ৫ ইঞ্চি হতে ৭ ইঞ্চি পর পর, পাথর মান সম্মত নয় পরিমাণ বড় বড় পাথর ও নিম্নমানের বালু দিয়ে ভবণ নির্মাণের সত্যতা পাওয়া গেছে।

উপজেলা সহকারি প্রকৌশলী (এসও)হেলাল মিয়া জানান, বড় গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ কাজ আমারদের অফিসের কাউকে না জানিয়ে ইউপি নির্বাচনের সময় ঢালাই করেন একারণে নির্মাণ কাজের অনিয়ম হয়েছে। নির্বাহী প্রকৌশলী পরিদর্শন করে উক্ত পিলার গুলো ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন।

নির্বাহী প্রকৌশলী বড় গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিদর্শন কালে ভবনের পিলার ভেঙ্গে রড দেখার দাবী জানান স্থানীয় জনতা এছাড়া উক্ত ভবনের নিচের বিম গুলো ঢলে আসা যেমন রয়েছে তেমনি ব্যাকা রয়েছে কলাম গুলো। রামচন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় ভবনের নিচের বিম গুলো ব্যাপক ভাবে ব্যাকা হয়েছে ও ঢলে এসেছে। এ ভবনের ব্যবহৃত পাথর নিয়ে অন্তোষ প্রকাশ করেন নির্বাহী প্রকৌশলী তিনি পাথর গুলো চালা দেওয়ার কথা বলেন। হরিণবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনের পিলারের ভিক্তিতে পরিমাপের কম থাকার সত্যতা পাওয়া যায়। সেখানেও স্ট্রিলের সার্টারের বদলে কাঠের সার্টার ব্যবহার করায় পিলারের ভিক্তির ব্যাছ গুলো ঢল ধরেছে।

পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে নির্বাহী প্রকৌশলী মুনসুর আলী বলেন, আমি দেখলাম যে বিষয় গুলো ভালো হয়েছে সে গুলো ভালো লিখবো আর যে বিষয় গুলো খারাপ হয়েছে সে বিষয়ে খারাপ রির্পোট দিবো।

স্থানীয় জনসাধারণ বলেন,উপজেলা প্রকৌশলী অফিসের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে অনিয়ম করে ভবণ নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। তাদের এসব অনিয়ম বিষয়ে কেউ কোন কথা বলতে পারছে না কারণ তারা ভবন নির্মাণ কাজে অভিজ্ঞ নয়। নানা প্রকার অনিয়মের মধ্যে বাস্তবায়ন হচ্ছে ভবণ নির্মান কাজ। উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন গুলো সঠিকভাবে নির্মাণে ও সকল অনিয়ম বন্ধে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।

Development by: webnewsdesign.com