পলাশবাড়ীতে ভূমি আইন লংঙ্ঘণ করে আবাদী জমির মাটি কর্তন নিরব কেন সংশ্লিষ্টরা

মঙ্গলবার, ০৬ জুন ২০২৩ | ৭:৩৫ অপরাহ্ণ

পলাশবাড়ীতে ভূমি আইন লংঙ্ঘণ করে আবাদী জমির মাটি কর্তন নিরব কেন সংশ্লিষ্টরা
পলাশবাড়ীতে ভূমি আইন লংঙ্ঘণ করে আবাদী জমির মাটি কর্তন নিরব কেন সংশ্লিষ্টরা
apps

দেখেও যদি না দেখে তাদের দেখাবে কিসে, প্রতিনিয়ত ভূমি আইন লংঙ্ঘণ করে রয়েছে বহাল তবিয়তে চালিয়ে যাচ্ছে ভূমির শ্রেনী ও আকার পরিবর্তনের মতো একই অপরাধ। গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর ও ইউনিয়নের বুজ্রবৃষ্টিপুর গ্রামের মৃত দুদু সরকারের বসত বাড়ীর পিছনে ইছানই বিলের জমি হতে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে ইউপি সদস্য বাবু ও স্থানীয় মাটি খেকো শাহজাহান গং।

এছাড়াও উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নের বুড়ির বাজারে ভূমি আইন কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আইন কানুনের তোয়াক্কা না করে ম্যানেজ প্রক্রিয়ায় এসব জমির আকার ও শ্রেনী পরিবর্তন করে নির্বিচারে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে এ চক্রটি। এসব মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে অবৈধ সব ইটভাটা গুলোতে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,ইছানই বিলের মাঝে দুটি ভেকু দিয়ে প্রায় ১৫ হতে ১৬ টি ট্রাক্টর দিয়ে মাটি কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এসব মাটি কর্তন করছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য রাশিদুল ইসলাম বাবু মেম্বার ও স্থানীয় মাটি খেকো শাহজান গং এর লোকজন এসব মাটি কেটে স্থানীয় ইটভাটা মালিকদের নিকট বিক্রি করছে। এসব মাটি কর্তনের ফলে উক্ত জমির পাশে থাকা আবাদী জমির মালিকগণ ব্যাপক দুঃশ্চিন্তায় পড়েছে। তারা এই অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে তাদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে ভূমি আইন লংঙ্ঘণকারীরা।

স্থানীয়রা জানান,গত কয়েকদিন হলো এ অঞ্চলের আবাদী জমি গুলো নির্বিচারে কর্তন করা হলো। অথচ কেউ দেখার ও বলার নাই। প্রয়োগ নাই আইন কানুনের এতে পরিস্কার বোঝা যায় ম্যানেজ প্রক্রিয়ায় এসব মাটি কর্তন চলমান রয়েছে।

সরেজমিন হতে এবিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি এস এম ফয়েজ উদ্দিন জানানো হলে তিনি অফিসিয়াল কাজে ব্যস্ত থাকায় উক্ত স্থানে একজন তহসিলদার কে পাঠানো হচ্ছে বলে জানান, এবং ভূমি আইন লংঙ্ঘণকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া কথা জানান। এদিকে সরেজমিন থেকে এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান নয়ন কে অবগত করলে তিনিও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস প্রদান করেন।

উল্লেখ্য, উক্ত স্থান গুলোতে কয়েকদিন যাবৎ ভেকু দিয়ে নির্বিচারে মাটি কেটে নিয়ে যাওয়ার পরেও স্থানীয় সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের নিরব ভূমিকা পালনের ফলে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার ও গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করেন স্থানীয় জনসাধারণ।

Development by: webnewsdesign.com