নেত্রকোনায় ৯২১ বিদ্যালয়ে নেই শহীদ মিনার

শনিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ৫:১৫ অপরাহ্ণ

নেত্রকোনায় ৯২১ বিদ্যালয়ে নেই শহীদ মিনার
apps

শিল্প সংস্কৃতির শহর নেত্রকোনায় সকল ধর্মের সকল বর্ণের জাতিগোষ্ঠীর একত্রে বসবাস। পাহাড়ী আদিবাসী অধ্যুসিত জেলায় ১ হাজার ৩১৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। তার মধ্যে নিজ উদ্যোগে ৩৯৪ টিতে বিদ্যালয়ে এ পর্যন্ত শহীদ মিনার রয়েছে। বাকী ৯২১ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই শহীদ মিনার।

এ ব্যাপারে নেত্রকোনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল্লাহ সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শহীদ মিনার স্থাপনে কোনো সরকারী বরাদ্দ নেই। যেগুলো করা হয়েছে আমাদের নিজেদের স্থানীয়ভাবে উদ্যোগেই করা হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি অথবা নিজেরা অর্থ দিয়ে করেছি। আর স্থানীয়ভাবে করার কারণে এক একটা এক এক রকম হয়েছে। আমরা চাচ্ছি এক ডিজাইনের বাকিগুলোও করতে। আস্তে আস্তে সবগুলো হয়ে যাবে। এক একটি শহীদ মিনার স্থাপনে সত্তর, আশি হাজার থেকে প্রায় এক লাখ টাকার মতো লাগে। তবে পর্যায়ক্রমে সবগুলোই হবে। মাঝখানে ৬ মাস কাজ বন্ধ ছিলো ডিজাইনের জন্য। আবার শুরু হচ্ছে।

এদিকে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহীদদের স্মরণে প্রতিবছর মহান শহীদ দিবস ও আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস সর্ম্পকে শিশুদেরকে জানাতে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার থাকা প্রযোজন বলে মনে করেন শিক্ষানুরাগীরা।

এক নজরে নেত্রকোনা জেলা বাতায়ন তথ্য সূত্রে জানা গেছে, জেলায় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় রযেছে ৬৩০ টি। বেসরকারী রেজি. প্রাথমিক বিদ্যালয় ৪৬৩ টি, বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৪৪ টি ও একটি মাত্র ইংরেজি মাধ্যম বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। একটি সরকারী প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে।
তারমধ্যে হাওরদ্বীপ খালিয়াজুরীর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, উপজেলার ছয় ইউনিয়নে প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৬৩টি। এর মধ্যে শহীদ মিনার আছে মাত্র ১২টিতে। বাঘাটিয়া, আদমপুর, কাদিরপুর, গছিখাই গ্রামের প্রথমিক বিদ্যালয়সহ ৫১ টিতেই কোনো শহীদ মিনার নেই। জেলার অন্য ৯টি উপজেলার চিত্রও প্রায় একই।

একটি সূত্রে জানা গেছে, শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য মহাপরিচালকের কার্যালয় থেকে এরই মধ্যে তিনটি ডিজাইন চূড়ান্ত করে পাঠানো হয়েছে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছে। কিন্তু এগুলোর জন্য দেয়া হয়নি কোনো অর্থ বরাদ্দ। ফলে ইচ্ছা থাকা স্বত্ত্বেও শুধুমাত্র অর্থ সংকটের কারণেই অনেক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার স্থাপন করা হয়নি বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে বেশ কিছু বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে।

 

Development by: webnewsdesign.com