নুসরাত প্রতারণা করেছেন: নিখিল জৈন

শনিবার, ১২ জুন ২০২১ | ১:০৯ অপরাহ্ণ

নুসরাত প্রতারণা করেছেন: নিখিল জৈন
apps

কলকাতার অভিনেত্রী ও রাজ্যসভার সংসদ সদস্য নুসরাত জাহানের বিবৃতির জবাব বিবৃতিতেই দিলেন নিখিল জৈন।

বুধবার নুসরাত বিয়ে নিয়ে একটি আনুষ্ঠআনিক বিবৃতি দিয়েছিলেন।

সেখানে নানা অভিযোগ ছিল নিখিলের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (১০ জুন) ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে একটি বিবৃতি দিয়েছেন নিখিল। বিবৃতিতে নিখিল জানিয়েছেন, বার বার বলা সত্ত্বেও বিয়ের নিবন্ধন করাতে রাজি হননি নুসরাত। সেইসঙ্গে বিবৃতিতে নিখিল দাবি করেন নুসরাত তার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন৷

ভারতীয় গণমাধ্যম আজকের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বিবৃতিতে নিখিল লিখেছেন, নুসরাতকে ভালোবেসে আমি বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলাম সেটা ও আনন্দের সঙ্গে গ্রহণ করেছিল। আমরা ২০১৯-এর জুন মাসে তুরস্কের বোদরুমে গিয়েছিলাম ডেস্টিনেশন ওয়েডিংয়ের জন্য। তারপর কলকাতায় ফিরে রিসেপশন পার্টি হয়। আমরা স্বামী-স্ত্রী হিসাবে বাস করেছি, সমাজে পরিচিত হয়েছি। স্বামী হিসাবে আমার দায়িত্ব এবং কর্তব্য নিয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। আমি নুসরাতের জন্য কী কী করেছি তা আমার পরিবার এবং বন্ধুরা জানেন। ২০২০ সালের আগস্ট মাসে একটি সিনেমার শুটিংয়ের পর থেকে আমার প্রতি নুসরাতের ব্যবহার পাল্টে যায়। কী কারণে তা নুসরাতই ভালো বলতে পারবে।

বিবৃতিতে নিখিল আরো লেখেন, আমি ওকে বহুবার বিয়ের রেজিস্ট্রেশন করানোর জন্য অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু ও কিছুতে রাজি হয়নি। ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর নিজের সমস্ত জিনিসপত্র এবং মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে আমার ফ্ল্যাট ছেড়ে নুসরাত চলে যায়। বালিগঞ্জে ওর নিজের ফ্ল্যাটে ওঠে। তার পর থেকে আমরা কখনও স্বামী-স্ত্রী হিসাবে এক সঙ্গে বসবাস করিনি। বাকি কিছু জিনিস এবং দরকারি কাজপত্র ইত্যাদি ছিল যা পরে ওর ফ্ল্যাটে পাঠানো হয়। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে নুসরাতের নানা খবর দেখার পর অনুভব করি ও আমার সাথে চিট করেছে। বাধ্য হয়ে ২০২১ সালের ৮ মার্চ নুসরাতের বিরুদ্ধে দেওয়ানি মামলা করি আলিপুর জজ কোর্টে। এটা এখন বিচারাধীন বিষয় তাই আমি কোনো মন্তব্য করতে চাইনি। তবে ওর জারি করা বিবৃতির পর বাধ্য কিছু ঘটনা জানালাম।

নিখিল আরও লেখেন, বিয়ের পর বিরাট অঙ্কের গৃহঋণ থেকে মুক্ত করার জন্য তাদের পারিবারিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে বড় অঙ্কের টাকা ট্রান্সফার করা হয়। সরল বিশ্বাসের ভিত্তিতে সে টাকা দেওয়া হয়েছিল নুসরাতকে। যে ট্রান্সফার নুসরাত দাবি করছে তা ঋণ মেটানোর কিস্তি। এখনও বড় অঙ্কের টাকা বাকি রয়েছে বলে দাবি করেন নিখিল। যে অভিযোগ নুসরাত তার বিরুদ্ধে করেছেন তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং অসত্য। বিবৃতিতে এমনটাই জানিয়েছেন নিখিল৷

Development by: webnewsdesign.com