দেশের বিভিন্ন জেলার নারী-পুরুষসহ ১৯ জন বাংলাদেশি ভারতের কারাগারে সাজা ভোগের পর বিয়ানীবাজারের শেওলা সীমান্ত দিয়ে দেশে ফিরেছেন।
ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগের মেয়াদ শেষ হলেও আইনী জটিলতায় তাদের দেশে প্রত্যাবর্তন অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। অবশেষে দু’দেশের দীর্ঘ কুটনৈতিক তৎপরতায় বিশেষ করে আসামের গোয়াহাটির বাংলাদেশ দূতাবাসের সহকারী হাইকমিশনার ড. তানভীর মনসুর রনির ও মৌলভীবাজার জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সহকারী কর্মকর্তা অমলেন্দু কুমার দাশের সার্বিক সহযোগিতায় (২৮জানুয়ারি) বৃহস্পতিবার দুপুরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী (বিএসএফ) ও আসামের করিমগঞ্জ জেলা পুলিশ ১৯ বাংলাদেশিকে বিজিবি ও ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
কোভিড-১৯ টেস্টে তাদের শরীরে করোনা উপসর্গ না পাওয়ায় ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দিয়ে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন পুলিশ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল গাজী শহীদুল্লাহ, আসামের করিমগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল ওয়াকিল, ইমিগ্রেশন অফিসার সমরেন্দ্র চক্রবর্তী, বিএসএফ-৭ ব্যাটালিয়ন সুতারকান্দি কোম্পানি কমান্ডার এস,ই মান দ্বীপ, শেওলা স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশ চেকপোস্টের ইনচার্জ আবুল কালাম, বিয়ানীবাজার থানার এস আই শাহ আলম ভুইয়া,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি মৌলভীবাজার জেলা সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা অমলেন্দু কুমার দাশ প্রমুখ।
জানা গেছে, দেশে প্রত্যাবর্তনকারী এসব বাংলাদেশি বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করেন। পরে ভারতীয় পুলিশ ও বিএসএফের হাতে আটক হয়ে ভারতের বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে কারাবন্দি হন। সেখানে সাজার মেয়াদ শেষ হলেও নানা জটিলতায় তাদের দেশে প্রত্যাবর্তন অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। এদের মধ্যে কয়েকজন রয়েছেন মানসিক প্রতিবন্ধী। অবশেষে দু’দেশের দীর্ঘ কুটনৈতিক তৎপরতায় ৫ জন নারী ১৪ জন পুরুষ দেশে ফিরলেন। তারা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা।
বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল গাজী শহীদুল্লাহ জানান, দেশে প্রত্যাগতদের শরীরে করোনা উপসর্গ না পাওয়ায় তাদের ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনের পরামর্শ দিয়ে আগে থেকে শেওলা স্থলবন্দরে অপেক্ষমাণ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
Development by: webnewsdesign.com