নারায়ণগঞ্জে সীমানা পিলারের মধ্যেই চলছে নতুন ভবন নির্মাণের কাজ

শুক্রবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২১ | ১২:১০ অপরাহ্ণ

নারায়ণগঞ্জে সীমানা পিলারের মধ্যেই চলছে নতুন ভবন নির্মাণের কাজ
apps

নদী তীর রক্ষার কাজে ঢাকা প্রান্তে যেখানে ৩ হাজারের মধ্যে এক হাজার ৭০০ পিলারই দৃশ্যমান, সেখানে নারায়ণগঞ্জে আড়াইহাজারের মধ্যে পিলার বসেছে মাত্র ৪০০। যা বসেছে তার বেশির ভাগ জায়গা এখনও দখলমুক্ত হয়নি, কোথাও নতুন করে চলছে দখল। এতে সামগ্রিকভাবে নৌ-মন্ত্রণালয়ের নদী উদ্ধারের সফলতা ম্লান হতে বসেছে। তবে মন্ত্রী বলেছেন, দখলদারদের উচ্ছেদ করে যে কোনো মূল্যে নদীর জায়গা নদীকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

লাখ টাকা খরচ করে সীমানা পিলার বসেছে ঠিকই। তবে ভেতরে রয়ে গেছে নদী দখল করে গড়া স্থায়ী কাঠামো। কোথাও আবার স্থায়ী সীমানা পিলারের মধ্যেই চলছে নতুন করে ভবন নির্মাণের কাজ। নদী উদ্ধারে বিআইডব্লিউটিএর কর্মযজ্ঞের মধ্যেই এমন চিত্র নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা তীরের বিভিন্ন জায়গায়। কোনো কোনো জায়গায় গা ঘেঁষাঘেঁষি করে বসানো হলেও বেশির ভাগ জায়গাতেই আবার কিলোমিটারের পর কিলোমিটার ঘুরেও দেখা মেলেনি সীমানা পিলারের। খোদ নারায়ণগঞ্জ বিআইডব্লিউটিএ ভবনের উল্টো পাশেই সীমানা পিলারের মধ্যে নির্মাণ করা হয়েছে বিশাল এই মার্কেট। উচ্ছেদে আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করছে না নদীবন্দর কর্তৃপক্ষ।

যুবরাজ সুপার মার্কেটের ব্যবস্থাপক মির্জা মাহবুব সুলতান বেগ বাচ্চু বলেন, বিআইডব্লিউটিএ সাইন বোর্ড লাগিয়েছে, তারা মনে করছে এটা তাদের সম্পত্তি। আমরা আদালতে শরণাপন্ন হয়েছি, সেটাতে আদালত নিষেধাজ্ঞা দেয়।

নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক মাসুদ কামাল বলেন, এখানে আইনগত কিছু প্রক্রিয়া আমরা নিষ্পন্ন করেছি। দ্রুতই অবৈধ স্থাপনাগুলো উদ্ধার করা হবে।

সরেজমিনে দেখা যায়, পাশেই জেলা প্রশাসন নিজেই বন্দর উপজেলার লক্ষ্মণখোলায় নদীর সীমানার মধ্যে ২৮টি ঘর নির্মাণ করছে।

বিআইডব্লিউটিএ প্রধান স্বীকার করলেন, ঢাকা ও টঙ্গিতে ৩০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হলেও নারায়ণগঞ্জে হয়েছে মাত্র ৫ ভাগ।

বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক বলেন, নারায়ণগঞ্জে নদী বন্দরে আমরা কিছুটা পিছিয়ে রয়েছি। আমরা প্রথমে ঢাকা ও টঙ্গিতে অভিযান চালিয়েছি। পরে নারায়ণগঞ্জে অভিযান চালানো হয়। সে জন্য এখানে আমরা পিছিয়ে রয়েছি।

কাজের ধীরগতি কেন, তা খতিয়ে দেখা হবে জানিয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নদীর জায়গায় সরকারি-বেসরকারি কোনো অবৈধ স্থাপনাই রাখা হবে না।

২০২২ এর জুনে নদী তীর রক্ষার কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নারায়ণগঞ্জে তা সম্ভব হবে কি না সেটাই দেখার বিষয়।

Development by: webnewsdesign.com