নাগরপুরে প্রবাসীর নিজ অর্থায়নে ৫ টি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ

রবিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ৪:০১ অপরাহ্ণ

নাগরপুরে প্রবাসীর নিজ অর্থায়নে ৫ টি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ
apps

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে সলিমাবাদ ইউনিয়নের ৫ টি বিদ্যালয়ে নিজ অর্থায়নে শহীদ মিনার নির্মাণ করেছেন প্রবাসী সুমন সিকদার। পুরো উপজেলায় বর্তমান সময়েও অনেক বিদ্যালয়ে কলা গাছ এবং বাশ দিয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনার তৈরী করে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানানো হয় ।

বীর শহীদদের এভাবে স্মরণ করার বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি সুমন সিকদার নামের এক প্রবাসী তরুণ। তিনি প্রতিবছর একে একে পাঁচটি শহীদ মিনার নির্মাণ করেছেন। স্থানীয় এলাকাবাসীদের ভাষ্যমতে, সলিমাবাদ উত্তর,পূর্ব, পশ্চিম ও খাস ঘুনিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্বে কোনো স্থায়ী শহীদ মিনার ছিলো না। ফলে শিক্ষার্থীরা ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বা স্মরণ করতে পারত না।

এখন শহীদ মিনার নির্মাণ হওয়ায় ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে পেরে শিক্ষার্থীরা আনন্দিত।
এ বিষয়ে সুমন সিকদার মুঠোফোনে বলেন, আমি যখন কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী ছিলাম তখন কলা গাছ এবং বাঁশ দিয়ে তৈরি শহীদ মিনারে আমরা ভাষা শহীদদের স্মরণ করতাম। সেই সময় থেকেই আমার মন ব্যথিত হতো। ভাষা শহীদদের স্মরণ ও তাদের গুরত্ব ভবিষ্যত প্রজন্মের মধ্য সঠিকভাবে যেনো বিকাশিত হয় সেই লক্ষ্যে পরবর্তীতে আমরা ১০ জন বন্ধু মিলে প্রথম স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করি। এরপর একে একে আমি নিজেই ৫ টি শহীদ মিনার নির্মাণ করেছি। আমি দেশপ্রেম থেকেই মূলত এমন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেছি।
নিজ উদ্যোগে শহীদ মিনার নির্মাণ প্রসঙ্গে নাগরপুর উপজেলা সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সুজায়েত হোসেন জানান, সলিমাবাদ ইউনিয়নের কৃতি সন্তান সুমনের এমন উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসনীয়। উপজেলা অনেক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার না থাকার বিষয়টি অত্যন্ত দু:খ জনক। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যেনো দ্রæত নাগরপুরের সকল বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হোক।
শহীদ মিনার নির্মাণের এমন উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করে সলিমাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো: শাহীদুল ইসলাম অপু বলেন, আমার ইউনিয়নের একজন প্রবাসী সুমন সিকদার, তিনি প্রবাসে থেকেও দেশের প্রতি তার ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ দেখিয়েছেন। তার মতো এমন উদ্যোগে আমাদের মধ্যে অনেকেই এগিয়ে আসবেন বলে আমি আশাবাদী।
উল্লেখ্য, উপজেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ১৫৬ টি, মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৪২ টি, কলেজ রয়েছে ৫ টি, মাদ্রাসা রয়েছে ১৩ টি। এর মধ্যে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৫৬ টির মধ্যে ৩১ টি, মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয় ৪২ টির মধ্যে ৩৫ টি ও উপজেলার সরকারী,বেসরকারী সবগুলো কলেজে স্থায়ী শহীদ মিনার রয়েছে।

Development by: webnewsdesign.com