নতুন বইয়ের আনন্দে সিলেটে শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস

শনিবার, ০১ জানুয়ারি ২০২২ | ২:৪৪ অপরাহ্ণ

নতুন বইয়ের আনন্দে সিলেটে শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস
apps

নতুন বছর, নতুন ক্লাস, নতুন বই! স্কুলজীবনে প্রতিটি শিক্ষার্থীরই এই তিন ‘নতুন’কে ঘিরে থাকে বাড়তি উচ্ছ্বাস। আর বাংলাদেশে বেশ কয়েক বছর ধরে এই উচ্ছ্বাসে বাড়তি আবেদন যোগ করেছে নতুন বছরের শুরুর দিনেই শিক্ষার্থীদের হাতে উৎসবের মাধ্যমে নতুন বই তুলে দেওয়ার বিষয়টি। তবে মহামারির আস্ফালনের কারণে গেল বছর যেমন ‘বই উৎসব’ হয়নি, এ বছরও হচ্ছে না। তবে উৎসব না হলেও শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হচ্ছে। নতুন বই হাতে পেয়ে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা জাগছে নবআনন্দে।

গত ২৩ ডিসেম্বর শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে এ বছরও বই উৎসব করার মতো পরিস্থিতি আমাদের নেই। সব স্কুলেই ক্লাস ধরে ধরে বই বিতরণ করা হবে। এতে কোনও সমস্যা হবে না।’

শিক্ষা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, আজ শনিবার সিলেট নগরীর দুটি প্রাথমিক ও দুটি উচ্চবিদ্যালয়ে সীমিত পরিসরে বই বিতরণ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। নগরীর জিন্দাবাজারস্থ সরকারি কিন্ডারগার্ডেন স্কুল ও দুর্গাকুমার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।

শনিবার সকালে সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে বই উৎসবের উদ্বোধন করেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন। এ সময় জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম, সিলেট অঞ্চলের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর কবীর আহাম্মদ, সিলেট জেলার শিক্ষা অফিসার এ. এস. এম আব্দুল ওয়াদুদ, শিক্ষা ও আইসিটির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সত্যজিত রায় দাশ, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমতাজ বেগম, প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক বাবলী পুরকায়স্থ, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আল আজাদ, সময় টিভির ব্যুরো প্রধান ইকরামুল কবির, দৈনিক বাংলাদেশ মিডয়িার বার্তা সম্পাদক কামরুল হাসান জুলহাস প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, সিলেট বিভাগে সরকারি, বেসরকারি মিলিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইবতেদায়ি মাদরাসা ও কেজি স্কুলে ১৭ লাখ ১১ হাজার ৩২ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এসব শিক্ষার্থীর জন্য বইয়ের চাহিদা ৭২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৯৬টি।

এ ছাড়া মাধ্যমিক পর্যায়ে ৮ লাখ শিক্ষার্থীর জন্য বইয়ের চাহিদা ১ কোটি ৫৭ লাখ। তবে ছাপার কাজ শেষ না হওয়ায় সব বই পাওয়া যায়নি। যেসব বই পাওয়া গেছে, সেগুলোই আপাতত বিতরণ করা হচ্ছে।

এদিকে, নতুন বই হাতে পেয়ে খুশির জোয়ারে ভাসছে শিক্ষার্থীরা। অগ্রগামী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নওশিন তাবাসসুম বলেন, ‘আমাদের কাছে নতুন বছর মানেই হচ্ছে নতুন ক্লাসে উত্তীর্ণ হওয়া, নতুন বই হাতে পাওয়া। নতুন বই শুঁকলে যে ঘ্রাণ মেলে, এর অনুভূতি আসলে বলে বোঝানো সম্ভব না।’

 

 

Development by: webnewsdesign.com