ঢাবিতে শাড়ি নিয়ে লঙ্কাকাণ্ড, শিক্ষককে মারধর!

সোমবার, ০৬ জানুয়ারি ২০২০ | ১:৫২ অপরাহ্ণ

ঢাবিতে শাড়ি নিয়ে লঙ্কাকাণ্ড, শিক্ষককে মারধর!
apps

গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও সংগ্রামে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দানকারী ঐতিহ্যবাহী ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলগুলোতে নেতা-কর্মীদের শাড়ি দিয়েছিল ছাত্রলীগ। আর এতেই বেঁধে যায় মহা লঙ্কাকাণ্ড।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের জ্যেষ্ঠ এক নেত্রীর ‘অনুমতি’ না নিয়ে কনিষ্ঠ নেতা-কর্মীদের কয়েকটি শাড়ি বিতরণ করেছিলেন আরেক নেত্রী। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হল শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত করতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন হলের আবাসিক শিক্ষক জোবাইদা নাসরীন। গতকাল রবিবার (৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘটনায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সালসাবিল রাবেয়াকে সংগঠন থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

জানা যায়, যে জ্যেষ্ঠ নেত্রীর ‘অনুমতি’ না নিয়ে শাড়ি বিতরণ করাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সূত্রপাত, তিনি হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রওনক জাহান ওরফে রাইন এবং শাড়ি বিতরণ করা নেত্রী হলেন হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও শাখা ছাত্রলীগের আসন্ন কমিটিতে শীর্ষ পদপ্রত্যাশী সালসাবিল রাবেয়া।

ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর (৪ জানুয়ারি) আগের রাতে ঘটা সেই ঘটনার জের ধরে গতকাল রবিবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা থেকে ফের সংঘর্ষ শুরু হয়। খবর পেয়ে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাকিয়া পারভীনের নির্দেশে ঘটনাস্থলে যান আবাসিক শিক্ষক জোবাইদা নাসরীন ও তাহমিনা হক। তাঁরা সালসাবিল ও রিয়াকে হল থেকে বের করে আনতে গেলে ফটকের কাছে তাঁদের ওপর ফের হামলা চালান রওনকের অনুসারীরা।

এ সময় ‘ছাত্রলীগের সমালোচনা করে পত্রপত্রিকায় লেখালেখির’ অভিযোগ তুলে আবাসিক শিক্ষক ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জোবাইদা নাসরীনের ওপর হামলা করেন ছাত্রলীগের নেত্রীরা। তাঁর চুল টেনে ধরেন তাঁরা।

শিক্ষক জোবাইদা নাসরীন বলেন, ‘পরিস্থিতি শান্ত করতে একপর্যায়ে আমি বলি যে, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তখন ছাত্রলীগ নেত্রীরা আমার ওপর হামলা করেন। তাঁরা আমার চুল টেনে ধরেন। ওই পক্ষটির (রওনক) অভিযোগ হচ্ছে, হলের “পলিটিক্যাল ব্লকে” সাধারণ মেয়েরা (রিয়া আক্তারসহ অন্যরা) কেন গেল?’

হল সংসদের সহসভাপতি (ভিপি) রিকি হায়দার আশা বলেন, ‘হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি বেনজির হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক রওনক জাহানের অনুসারীরা হলে এই অরাজক পরিস্থিতির নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁরা দায়িত্বশীল আচরণ করছেন না। তাঁদের এমন আচরণে আমরা হতাশ।’

এ বিষয়ে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) সাদ্দাম হোসেন বলেন, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। বিষয়টি যাচাই করা হচ্ছে।

Development by: webnewsdesign.com