জিকে শামীমের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

রবিবার, ২২ নভেম্বর ২০২০ | ১০:২১ অপরাহ্ণ

জিকে শামীমের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
apps

জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) একাডেমিক ভবন নির্মাণের ৭৫ কোটি টাকার কাজ নেয়ায় দুই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মামলায় আসামি করা হয়েছে- জিকেবি অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গোলাম কিবরিয়া শামীম ও দ্য বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল করিম চৌধুরীকে। রবিবার (২২ নভেম্বর) বিকালে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এ মামলাটি করেন সহকারী পরিচালক মো. ফখরুল ইসলাম।

এজাহারে বলা হয়, ‘আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ষষ্ঠ একাডেমিক ভবনের (২য় কলা ও মানবিদ্যা অনুষদ) ২য় পর্যায়ে নির্মাণ কাজের জন্য কার্যাদেশ প্রাপ্ত। যৌথ উদ্যোগে চুক্তি সম্পাদনকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জিকেবি অ্যান্ড কোম্পানি (প্রা.) লিমিটেড এবং দ্য বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেডের টেন্ডার নোটিশের ১৯ (ডি), ১৯ (ই) ও ১৯ (এফ) তে উল্লিখিত শর্ত পূরণ করার মতো নির্মাণ কাজের যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও কোম্পানিদ্বয়ের এমডিরা প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতিমূলক কোম্পানির প্রকৃত নিবন্ধিত নামের সঙ্গে একক মালিকানাধীন ফার্মের নাম সংযুক্ত করে রেজিস্ট্রেশন দেখিয়ে ও নিবন্ধিত প্রকৃত শেয়ার সংখ্যার চেয়ে বেশি শেয়ার দেখিয়েছে। নিবন্ধিত নামের সঙ্গে একক মালিকানাধীন ফার্মের নাম সংযুক্ত করে রেজিস্ট্রেশন দেখিয়েছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় তথা সরকারের আলোচ্য কাজের ক্ষতিসাধন করে নিজেরা অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার মানসে বিশ্ববিদ্যালয় দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সদস্যদের অযোগ্যতা ও অদক্ষতার সুযোগে তথ্যগত জালিয়াতির মাধ্যমে ক্রয় প্রক্রিয়ায় সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রভাবিত করার অভিযোগে এ মামলা করা হয়েছে।’

জিকে শামীম বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। একটি অস্ত্র মামলায় ইতোমধ্যে তার সাজা হয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে নতুন কলা অনুষদ ভবনের দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্মাণ কাজের দরপত্র আহ্বান করে। ওই সময় কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই ৭৫ কোটি টাকার কাজটি পায় যুবলীগ নেতা জিকে শামীমের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান মেসার্স দ্য বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্স (জিকেবিএল-জেবি)।

অভিযোগ আছে, জিকে বিল্ডার্স তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একটি অংশকে কাজে লাগিয়ে জাল কাগজপত্র দাখিল করে কাজটি হাতিয়ে নিয়েছিল। ওই সময় জিকে বিল্ডার্সকে কাজ পাইয়ে দিতে মাত্র দুটি প্রতিষ্ঠানকে দরপত্র জমা দেয়ার সুযোগ দেয় ছাত্রলীগের ওই অংশ। একই অভিযোগ করেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নিহত ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর বড় বোন জুবাইদা সরওয়ার নিপা। তিনি বলেন, ‘তৎকালীন ছাত্রলীগ সভাপতি আলমগীর টিপুর নেতৃত্বে ছাত্রলীগের একটি অংশ চবির প্রকৌশল দফতর অবরোধ করে রেখে জিকে বিল্ডার্সকে কাজ পাইয়ে দিতে সহযোগিতা করেছিল। এ খারাপ কাজের প্রতিবাদ করায় তারা আমার ছোট ভাই দিয়াজকে হত্যা করেছে। জিকে শামীমকে এ কাজ পাইয়ে দিয়ে চবির অনেক ছাত্রনেতা এখন গাড়ি-বাড়ির মালিক বনে গেছেন।’

Development by: webnewsdesign.com