পূর্ব শত্রুতার জেরে ছেলেকে তুলে নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে বাড়িতে হামলা করতে গেলে বাঁধা দেয় মা। এ সময় ছেলে বাড়িতে না থাকায় ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন মা রাশিদাকে শ্লীলতাহানির ঘটিয়ে কুপিয়ে জখম করে । এমনকি বোনকেও মায়ের সামনেই শ্লীলতাহানী ঘটিয়ে মারধর করে। শুধু তাই নয়, এ সময় হামলাকারীরা মা ও মেয়ের গলায় থাকা স্বর্ণ অলংকার ঘরে থাকা নগদ অর্থ ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ৩১ জানুয়ারী সোমবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের দাউদপুরের খৈসাইর এলাকায়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে রূপগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
রূপগঞ্জ থানায় অভিযোগকারী খৈসাইর এলাকার জহর আলীর ছেলে রাকিব হাসান জানান, তিনি হামকো গ্রুপের একটি কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কর্মরত। খৈসাইর গ্রামের শাহাজদ্দিনের ছেলে হারিজুল(২৮), গোলজারের ছেলে ফয়সাল (২৪), লিমন(২০) ,জাইদুল(২২), সাইজুদ্দিনের ছেলে নজরুল(৩০), শাহাজদ্দিনের ছেলে মফিজুল (৩০) আমিনুল(২২), গোলজার ও সাহাজদ্দিনের সঙ্গে পূর্ব শত্রুতা রয়েছে। এরই জেরে গত ৩১ জানুয়ারি সোমবার সন্ধ্যায় কিছু বুঝে ওঠার আগে তাকে (রাকিব)কে হত্যার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে তুলে নিতে যায়। এ সময় ওই প্রতিপক্ষ রাকিবকে বাড়িতে না পেয়ে ঘরে ভাংচুর চালাতে থাকে। তাতে রাকিবের মা রাশিদা বেগম (৪৫)বাঁধা দিলে শ্লীলতাহানি ঘটায়। এতে চিৎকার দিলে দা দিয়ে কুপিয়ে মাথায় ও পিঠে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। চিৎকার শুনে রাকিবের বোন শান্তা এগিয়ে এলে তাকেও শ্লীলতাহানি ঘটায়। এবং লাঠিপেটা করে আহত করে। এ সময় মা ও মেয়ের গলায় থাকা স্বর্ণ অলংকার ঘরে থাকা ৫০ হাজার টাকা লুটে নেয়। পরে গ্রামবাসি এগিয়ে এলে হামলাকারী পালিয়ে যায়। শুধু তাই নয়, হামলায় আহত মা ও মেয়েকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে বাঁধা দেয় হামলাকারীরা। তারা হাসপাতালের দিকে যাওয়া সড়কে গাছ ফেলে সিএনজি আটকে দেয়। গ্রামবাসিরা পুলিশকে জানালে ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে পুলিশের পাহাড়ায় রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি দেখে মা রাশিদা বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়।
অভিযুক্তদের মাঝে গোলজার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মুঠোফোনে জানান, আমার ছেলেরা এ হামলায় জড়িত নয়,আমিও না। তবে তাদের সঙ্গে নানা বিষয় নিয়ে বিরোধ রয়েছে।রূপগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)এএফএম সায়েদ বলেন, এ ধরনের অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় নেয়া হবে।
Development by: webnewsdesign.com