চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরকারী জমি দখলের অভিযোগ

মঙ্গলবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ১২:৪১ অপরাহ্ণ

চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরকারী জমি দখলের অভিযোগ
apps

নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ স্বাধীনের বিরুদ্ধে সরকারি জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে তিনি স্বতন্ত্র হিসেবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়কও।

ইউনিয়নের পাঁচহাট গ্রামের ইদ্রিছ মিয়া চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে দেওয়া লিখিত অভিযোগে বলেছেন, চেয়ারম্যান তাঁর লোকজন নিয়ে ২০ একর জমি দখলের জন্য সেখানে ভরাট করছেন।

ইউএনও বলছেন, মাটি ভরাট বন্ধ করা হয়েছে। তবে ইদ্রিছ বলছেন, সেখানে একটি ঘর বানানো হয়েছে। আরো কয়েকটি ঘর বানানো হচ্ছে।

ইদ্রিছ মিয়ার অভিযোগ, এ মাসের শুরুতে আব্দুর রউফ তাঁর লোকজন নিয়ে পাঁচহাট মৌজায় বাজারের পাশের প্রায় ২০ একর সরকারি জমি (পতিত জমি) দখলে নিয়ে মাটি ভরাট শুরু করেন। এ ঘটনায় ৬ ফেব্রুয়ারি তিনি খালিয়াজুরীর ইউএনও ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। এতে কাজ না হওয়ায় ১৩ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।

এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হাওর অধ্যুষিত উপজেলা খালিয়াজুরীতে জনবসতি খুবই কম। সরকারি সূত্র মতে, হাওরে বিভিন্ন শ্রেণির খাসজমির পরিমাণ আট হাজার একরেরও বেশি। স্থানীয় অনেকের অভিযোগ, কোনো দপ্তর এই সরকারি জমির খোঁজখবর রাখে না। প্রভাবশালীদের কেউ কেউ নিজেদের ইচ্ছামতো ভোগদখল করছে এসব জমি। প্রভাবশালীরা দরিদ্র ও ভূমিহীন লোকদের প্রলোভনে ফেলে প্রথমে জমি দখল করেন। তারপর সরকারি দপ্তরের এক শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীকে হাত করে নিজেদের নামে কাগজপত্র করিয়ে নেন। একই কায়দায় চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ স্বাধীনসহ অন্যরা পাঁচহাট মৌজায় ২০ একর খাসজমি কবজা করেছেন।

জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুর রউফ বলেন, ‘স্থানীয় কিছু লোক আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় মিথ্যা অভিযোগ করছে। আমি সরকারি খাসজমি দখল করিনি। এলাকার ভূমিহীনরা ওই জায়গায় বাড়িঘর করার জন্য মাটি ভরাট করছে। ’

ইউএনও এ এইচ এম আরিফুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে পাঠিয়ে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কাজ বন্ধের নির্দেশ দেওয়ার পর ওই জায়গায় ঘর বানানো হয়েছে—এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও বলেন, ঘর বানানো হয়ে থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জেলা প্রশাসক কাজী মো. আব্দুর রহমান বলেন, ‘অভিযোগের কপি আমার হাতে আসেনি। কপি পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ’

Development by: webnewsdesign.com