চিকিৎসক মাস্ক পরতে বলায় করোনা সন্দেহে রুগীর আত্মহত্যা

বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | ৫:৫৫ অপরাহ্ণ

চিকিৎসক মাস্ক পরতে বলায় করোনা সন্দেহে রুগীর আত্মহত্যা
apps

করোনা ভাইরাসে চীনের মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে সামনে আরও ভয়াবহ দিন আসছে। এদিকে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় বাড়ছে আতঙ্ক। এমনই আতঙ্কে নিজেকে শেষ করে দিলেন ভারতের এক ব্যক্তি। ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তুরে ঘটেছে এ মর্মান্তিক ঘটনা।

শেষামনাইডু কান্দ্রিগা গ্রামের বাসিন্দা কে বালকৃষ্ণ মোবাইলে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত খবরের ভিডিয়ো দেখে বিশ্বাস করতে শুরু করেন, তারও বুঝি এই রোগ হয়েছে। সর্দি-কাশি ও জ্বরের জন্য তার চিকিত্‍‌সাও চলছিল।

ডাক্তাররা জানিয়েছেন, ভাইরাল ফিভারে আক্রান্ত ছিলেন ওই প্রৌঢ়। তবে তার শরীরে করোনা ভাইরাসের কোনও লক্ষণ ধরা পড়েনি। তবে ডাক্তারের কথায় আমল দেননি বালকৃষ্ণ। নিজেকে করোনায় আক্রান্ত ভেবে তিনি পরিবারকে বাঁচানোর জন্য কঠিন পদক্ষেপ করে বসেন। মঙ্গলবার স্ত্রী-সন্তানকে ঘরে তালাবন্দি করে রেখে মায়ের কবরস্থানে চলে যান তিনি। তার স্ত্রীর ডাকাডাকিতে প্রতিবেশীরা দরজা খুলে দেয়ার পর সবাই সেখানে ছুটে যান সেই কবরস্থানে। তবে ততক্ষণে সব শেষ। সবাই গিয়ে দেখেন, মায়ের কবরস্থানের পাশে একটি গাছের ডালে ঝুলছেন বালকৃষ্ণ।

 

এখনও পর্যন্ত অন্ধ্রে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কোনও খবর নেই। বালকৃষ্ণর ছেলে বালা মুরলী জানিয়েছেন, তার বাবা কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। গত ৫ ফেব্রুয়ারি তিরুমালার একটি হাসপাতালেও যান তিনি। ডাক্তাররা জানান, তার ভাইরাল ইনফেকশন হয়েছে। সেই ভাইরাস যাতে না-ছড়ায়, সে জন্য একটি মাস্ক ব্যবহার করতে বলেন ডাক্তাররা। এতেই সন্দেহ হয় বালকৃষ্ণের। বাড়ি ফিরে তিনি পরিবারের সদস্যদের দূরে থাকার নির্দেশ দেন। বলেন, তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। মুরলীর কথায়, ‘আমার বাবা সারাদিন মোবাইলে করোনাভাইরাসের ভিডিয়ো দেখতেন। বলতেন, তারও একই রকমের উপসর্গ দেখা দিয়েছে। আমরা যখন বলতাম, তার এমন কিছুই হয়নি, তখন ভীষণ রেগে যেতেন।’

এ ব্যাপারে ১০০ ডায়ালে ফোন করে বাবাকে কাউন্সেলিং করানোরও আর্জি জানিয়েছিলেন মুরলী। তবে তাকে বলা হয়, তার বাবা সম্প্রতি চিনে যখন যাননি, তখন ভয়ের কিছু নেই। মুরলীর আক্ষেপ, ঠিকমতো কাউন্সেলিং হলে হয়ত তার বাবা বেঁচে থাকতেন।

Development by: webnewsdesign.com