সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে ঘোড়া দিয়ে জমি হালচাষ চলছে। এতে জনমনে কৌতহলের দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ বলছেন- ঘোড়ার দাম তো অনেক। এই দামি প্রাণী দিয়ে হালচাষ কেন? আর তা ছাড়া, হালচাষে ঘোড়া তো অভ্যস্ত প্রাণী না।
জানা গেছে, সৌখিন কৃষকরা ঘোড়া দিয়ে জমি আবাদ করলেও কয়েক বছর ধরে ট্রাক্টরের দখলে চলে গেছে জমি আবাদ। গরু ও লাঙ্গল দিয়ে চাষ করা এখন প্রায় বিলুপ্ত হয়ে পড়েছে। এতে কমে গেছে জমি চাষী দিন মজুর শ্রমিকদের কদর। বেড়েছে ট্রাক্টরের কদর। বাংলা পৌষ মাসের শুরুতে উপজেলার প্রতিটি হাওরে বোরো আবাদের ধুম পড়েছে।
গত কয়েক দিন ধরে জমি পরিচর্চা, হালচাষ ও ধানের চারা রোপন করা শুরু হয়েছে। প্রচন্ড শীতকে উপেক্ষা করে জমি আবাদে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। কোথাও জমির মালিক নিজে জমি আবাদ করছেন। আবার অনেক মালিক দিন মজুর শ্রমিকদের দিয়ে জমি আবাদ করাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে রোববার জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শওকত ওসমান মজুমদার বলেন, এবার জগন্নাথপুরে বেশি জমি আবাদ করা হচ্ছে। জমি আবাদে আমরা কৃষকদের উৎসাহিত করছি এবং সরকারি সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। এতে কৃষকরা আরো উৎসাহিত হয়ে বেশি জমি আবাদ করছেন। এবার জগন্নাথপুরে প্রায় ২০ হাজার হেক্টর জমি আবাদ করা হচ্ছে। প্রকৃতি অনকুলে থাকলেও ৭২ হাজার মেট্রিকটন ধান উৎপাদন হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
Development by: webnewsdesign.com