ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে স্ত্রী-সন্তানরা আশ্রয়কেন্দ্রে, ঘর পাহারায় পুরুষ

রবিবার, ১৪ মে ২০২৩ | ১২:৪৩ অপরাহ্ণ

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে স্ত্রী-সন্তানরা আশ্রয়কেন্দ্রে, ঘর পাহারায় পুরুষ
ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে স্ত্রী-সন্তানরা আশ্রয়কেন্দ্রে, ঘর পাহারায় পুরুষ
apps

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত ঘোষণা করা হয়েছে। তারপরও আশ্রয়কেন্দ্রে না গিয়ে ঘর পাহারা দিচ্ছেন উপকূলের পুরুষরা। কক্সবাজারের চকরিয়া ও পেকুয়ায় আশ্রয়কেন্দ্রে স্ত্রী-সন্তানদের পাঠিয়ে দিলেও নিজেরা যেতে অনিচ্ছা প্রকাশ করছেন। রোববার (১৪ মে) সকাল পর্যন্ত প্রশাসন বাধ্য করে মাত্র ১০ হাজার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যেতে পেরেছে।

পেকুয়ার এক বাসিন্দা বলেন, আমাদের এলাকায় চুরির প্রবণতা একটু বেশি। তাই, স্ত্রী-সন্তানদের আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠিয়ে দিয়েছি। আর আমি ঘর পাহারা দিচ্ছি। আমার মতো এ রকম অনেকেই ঘর পাহারায় আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে পারছেন না।

চুরি-ছিনতাইসহ নানান রকম অপরাধ রোধে চকরিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তীর নেতৃত্ব পুলিশের একাধিক দল টহল দিচ্ছেন। পাশাপাশি আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা তাহেরা বেগমের নেতৃত্বে আনসারের কয়েকটি দল বিভিন্ন ইউনিয়নে টহল দিচ্ছেন এবং সাইক্লোন শেল্টারভিত্তিক দায়িত্ব পালন করছেন।

পেকুয়ায় ১২১টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। অন্তত ১ লাখ ২০ হাজার মানুষ যেখানে আশ্রয় নিতে পারবেন। তবে, এসব সাইক্লোন শেল্টারের বেশির ভাগই ফাঁকা রয়েছে। অনেক চেষ্টার ফলে কয়েক হাজার নারী ও শিশুকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিতে পেরেছেন কর্মীরা।

এদিকে, মোখার প্রভাবে শনিবার দিবাগত রাত ২টার পর থেকে কক্সবাজারে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় স্থলভাগের ২০ থেকে ৩০ মিটার উপরে ঝোড়ো বাতাস বইতে শুরু করেছে।

Development by: webnewsdesign.com