ঘূর্ণিঝড় নদী ভাঙন আতঙ্কে নোয়াখালীর উপকূলবাসী

মঙ্গলবার, ১৬ মে ২০২৩ | ৭:১৮ অপরাহ্ণ

ঘূর্ণিঝড় নদী ভাঙন আতঙ্কে নোয়াখালীর উপকূলবাসী
ঘূর্ণিঝড় নদী ভাঙন আতঙ্কে নোয়াখালীর উপকূলবাসী
apps

বেড়িবাঁধ না থাকায় ঘূর্ণিঝড় মোখার আতঙ্কের পর এবার নোয়াখালীর উপকূলবাসী নদী ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে। উপকূলীয় হাতিয়ার উত্তরে বয়ারচরের দক্ষিণ ইসলামপুর, চানন্দী ইউনিয়নের ভূমিহীন বাজারের দক্ষিণে জনতা বাজার এলাকায় অন্তত ২০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ না থাকায় হাজার হাজার মানুষ ভাঙন আতঙ্কে দিন পার করছেন।

গত ২ বছরে হাতিয়ার উত্তরাঞ্চলে চানন্দী ও হরনী ইউনিয়নে অন্তত ২০ কিলোমিটার জায়গা ও মানুষের বাড়িঘর, বাজার, স্কুল, মসজিদ-মাদ্রাসা মেঘনা নদীর গর্ভে বিলীন হয়েছে। সহায় সম্পত্তি হারিয়ে অনেকে বিভিন্ন স্থানে চলে গেছে, আবার অনেকে খোলা আকাশের নিচে অন্যের জায়গায় বসবাস করছে। তাদের একটাই দাবি, এই নদী ভাঙন প্রতিরোধ করতে স্থায়ীভাবে ব্লক নির্মাণ ও জিও ব্যাগ দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করা। নদী ভাঙন নিয়ে তারা চরম আতঙ্কে রয়েছে। গত ৫ বছরে এ অঞ্চলে ভাঙন প্রতিরোধে জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, এমন অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা।

তারা জানান, মাঝেমধ্যে ভাঙন প্রতিরোধে জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বাস দিলেও বাস্তবে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। নোয়াখালীর উপকূলীয় হাতিয়া, সূবর্ণচর, কবিরহাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলাকে দুর্যোগপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসকল উপকূলীয় নদীর পাড়ে চর অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ বেড়িবাঁধ না থাকায় আতঙ্কে রয়েছেন। কারণ ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে স্বাভাবিকের চেয়ে ৫-৬ ফুট জোয়ারের পানি এ সকল চর অঞ্চলে ওঠে। এতে মানুষের বাড়িঘর ডুবে যায় এবং গরু, ছাগল ভেসে যায় প্রবল জোয়ারের পানিতে। এ কারণে আতঙ্কে রয়েছে উপকূলবাসী।

পানি উন্নয়ন বোর্ড, নোয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী মুন্সি আমির ফয়সাল জানান, হাতিয়া ও সুবর্ণচরের ভাঙন প্রতিরোধ করার জন্য মন্ত্রণালয়ে একটি প্রকল্প প্রেরণ করা হয়েছে। প্রকল্প অনুমোদন হলে দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে। জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান জানান, উপকূলীয় হাতিয়ার এ এলাকায় বেড়িবাঁধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। অচিরেই তা বাস্তবায়ন করা হবে।

Development by: webnewsdesign.com