গোদাগাড়ীতে আরও এক স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর ভোট বর্জন

বৃহস্পতিবার, ০৭ অক্টোবর ২০২১ | ৫:০৬ অপরাহ্ণ

গোদাগাড়ীতে আরও এক স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর ভোট বর্জন
apps

রাজশাহীর গোদাগাড়ী পৌরসভার উপ-নির্বাচনের মেয়র পদের ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন পৌরসভার প্রয়াত মেয়র মনিরুল ইসলাম বাবুর স্ত্রী নারিকেল গাছ প্রতীকের প্রার্থী জান্নাতুল ফেরদাউস। বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১২টায় ফেসবুক লাইভে এসে তিনি ভোট বয়কটের বিষয়টি জানান।

তিনি অভিযোগ করেন, সকাল থেকেই ভোট কেন্দ্রে একমাত্র নৌকার এজেন্ট ছাড়া নাকিকেল গাছ প্রতীকের ও মোবাইল ফোন প্রতীকের এজেন্টদের ভোট কেন্দ্রে থাকতে দেওয়া হচ্ছে না। তাদের বের করে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, ভোটের প্রচার প্রচারণা শুরু হবার পর হতেই প্রচার প্রচারণায় বাধা প্রদান, মিথ্যা মামলা, মাইকিং ভাংচুর ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে না বলেই তিনি বর্জন করলেন।

এর আগে ৩০ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে জান্নাতুল ফেরদাউস বলেছিলেন, এলাকায় ভোটের পরিবেশ নেই। তাঁরও ব্যানার- ফেস্টুন খুলে ফেলা হচ্ছে। কর্মী-সমর্থকদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। নৌকার প্রার্থীর সমর্থকেরা এলাকায় সন্ত্রাসী কায়দায় নির্বাচন করছেন বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি।

জান্নাতুল ফেরদাউসের স্বামী মনিরুল ইসলাম বাবু ছিলেন পৌরসভার এই টানা দুইবারের মেয়র। প্রথমবার তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচন করে মেয়র হয়েছিলেন। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে ‘বিদ্রোহী’ হয়ে তিনি মেয়র হন। এরপর এপ্রিলে ভারতে চিকিৎসা করাতে গিয়ে তিনি মারা যান। সে কারণেই এই উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

বুধবার আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল ইসলাম ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। নির্বাচনে তাঁর প্রতীক জগ। আমিনুল ইসলাম পৌরসভার সাবেক মেয়র। তিনি জামায়াতের নেতা ছিলেন। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে এই ভোটে অংশ নেওয়ায় তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

তবে নির্বাচনের পরিবেশ না থাকার অভিযোগ তুলে তিনি ভোট বয়কট করেছেন। ব্যানার ফেস্টুন খুলে ফেলা, কর্মীদের মামলা দিয়ে হয়রানি করা এবং নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেও প্রতিকার না পাওয়াকে তিনি ভোট বয়কটের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

এই নির্বাচনে অন্য দুই প্রার্থী হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত অয়েজ উদ্দিন বিশ্বাস (নৌকা) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া রুলু (মোবাইল ফোন)। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।

বিকাল ৪টা পর্যন্ত ১৬টি কেন্দ্রে একটানা ভোটগ্রহণ করা হবে। কিন্তু ভোটকেন্দ্রে ভোটার নেই বললেই চলে। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে মোট ভোটারের সংখ্যা ৩২ হাজার ৯০৫ জন। ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে।

Development by: webnewsdesign.com