গণমাধ্যমকর্মী আইন চূড়ান্তের কাজ শেষ পর্যায়ে: তথ্যমন্ত্রী

সোমবার, ২০ জানুয়ারি ২০২০ | ৭:০৯ অপরাহ্ণ

গণমাধ্যমকর্মী আইন চূড়ান্তের কাজ শেষ পর্যায়ে: তথ্যমন্ত্রী
apps

সংসদ ভবন থেকে: সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় স্বাধীনভাবে সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে সরকার কোনো রকম হস্তক্ষেপ করছে না জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এছাড়া সরকার ইতোমধ্যে নবম ওয়েজ বোর্ড ঘোষণা করেছে এবং গণমাধ্যমকর্মী আইন চূড়ান্ত করার কাজও শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলেও জানান তিনি।

 

 

 

সোমবার (২০ জানুয়ারি) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আফজাল হোসেনের প্রশ্নের লিখিত জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

এছাড়া বর্তমান সরকারের সময় সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিকমিডিয়া অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করছে বলেও উল্লেখ করেন তথ্যমন্ত্রী।

 

 

 

তিনি জানান, দেশের জাতীয় উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করা হয়েছে। বর্তমান সরকারের মেয়াদে জাতীয় তথ্য বাতায়ন এবং ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র চালু করে তথ্য সেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় নেওয়া হয়েছে। সরকার জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা, তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন ও তথ্য কমিশন প্রতিষ্ঠাসহ অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। গণমাধ্যম বান্ধব সরকারের উদার সম্প্রচার নীতিমালার কারণে বর্তমানে বেসরকারি খাতে ৪৪টি টেলিভিশন, ২২টি এফএম রেডিও এবং ৩৩টি কমিউনিটি রেডিও চ্যানেলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

তথ্যমন্ত্রী আরও জানান, অনলাইন গণমাধ্যমের রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন জমা পড়েছে। সম্প্রচার ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত নীতিমালা ইতোমধ্যে প্রণীত হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী কার্যক্রম বাস্তবায়নের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

তিনি জানান, অনলাইন গণমাধ্যম রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন জমাদান ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাস হতে শুরু হয়েছে। এই পর্যন্ত ৩ হাজার ৫৯৭টি রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করেছে। প্রাপ্ত আবেদনপত্রসমূহ যাচাই-বাছাই করে তালিকাসহ তথ্য মন্ত্রণালয়ে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের জন্য প্রেরণ কর হয়েছে।

জনগণের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রণীত তথ্য অধিকার আইন বলবত রয়েছে এবং জনগণ এর সুফল ভোগ করছে বলে জানান ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘সংবাদপত্রের ও সাংবাদিকদের মানোন্নয়নের জন্য পিআইবি, গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের মাধ্যমে বছরব্যাপী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া সাংবাদিকদের সহায়তার জন্য সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছে। ইলেকট্টনিক মিডিয়ার উন্নয়নের জন্য আলাদাভাবে চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।’

সংসদ সদস্য নাছিমুল আলম চৌধুরীর প্রশ্নের লিখিত জবাবে তথ্যমন্ত্রী জানান, সকল সংবাদপত্রের গণমাধ্যমকর্মীর শতকরা ৪৫ ভাগ মহার্ঘ ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। সরকার ইতোমধ্যে নবম ওয়েজবোর্ডের গেজেট প্রকাশ করেছে। এছাড়া ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন ব্যতিত পত্রিকাসমূহের ওয়েজবোর্ডপ্রাপ্তদের সমান হারে বিজ্ঞাপন হার প্রদানের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এসব পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে সারাদেশের সাংবাদিকতর মানোন্নয়নের প্রভূত কল্যাণ সাধিত হবে বলে আশা করা যায়।

Development by: webnewsdesign.com