ক্যামেরুন সিংহের মতোই গর্জে উঠবে

সোমবার, ২৮ নভেম্বর ২০২২ | ১:৩৫ অপরাহ্ণ

ক্যামেরুন সিংহের মতোই গর্জে উঠবে
apps

সুইজারল্যান্ডের কাছে ১-০ গোলের হারে বিশ্বকাপ শুরু হয় ক্যামেরুনের। সার্বিয়াকে হারিয়ে নিজেদের ‘আফ্রিকান অদম্য সিংহ’ ডাকনামের সার্থকতা প্রমাণ করতে চায় দলটি। ক্যামেরুন কোচ রিগোবার্ট সং বলেন, ‘প্রথম ম্যাচে আমরা ফাইনাল টাচ (গোল) মিস করেছিলাম। আমরা জয়ের জন্য ক্ষুধার্ত ছিলাম। কিন্তু গোল পাইনি। সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে ম্যাচে আমরা যেসব ভুল করেছি, তার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না আবার। আমি নিশ্চিয়তা দিতে পারি, সার্বিয়ার বিপক্ষে আমাদের খেলা ভিন্ন হতে যাচ্ছে।

অন্যতম তরুণ একাদশ নিয়ে বিশ্বকাপে এসেছে ক্যামেরুন। ২৬ জনের গড় বয়স ২৬.৩ বছর। ক্যামেরুন কোচ মনে করেন, তাদের এখনো সেরাটা দেওয়ার বাকি আছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের দলটা দেখুন, ২৬ জনের মধ্যে মাত্র তিনজনের বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা আছে।

দলটা নতুনদের নিয়ে গড়া। তাদের এখনো অনেক কিছু দেওয়ার বাকি।’ ১৯৯০ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছিল ক্যামেরুন। ওই আসরের গ্রুপ পর্বে আর্জেন্টিনা ও রোমানিয়াকে হারায় তারা।শেষ ষোলোতে পরাজিত করে কলম্বিয়াকে।

কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের সঙ্গে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর ক্যামেরুন হেরে যায় ৩-২ গোলে। এরপর ১৯৯৪, ১৯৯৮, ২০০২, ২০১০ এবং ২০১৪ বিশ্বকাপে খেলেছে পাঁচবারের আফ্রিকান চ্যাম্পিয়নরা। পাঁচ আসর মিলিয়ে মাত্র এক জয় ক্যামেরুনের। টানা ৮ ম্যাচের হার নিয়ে সার্বিয়ার মুখোমুখি হবে ক্যামেরুন। কোচ রিগোবার্ট সং বলেন, ‘আশাহৃত হওয়ার কিছু নেই। ফুটবলে যেকোনো কিছুই সম্ভব।’ অন্যদিকে, সার্বিয়াও নিজেদের প্রথম ম্যাচে হেরেছে ব্রাজিলের কাছে।

টিকে থাকতে তাদেরও জয়ের বিকল্প নেই। দলীয় কোচ ড্রাগন স্টয়কোভিচ দলের খেলোয়াড়দের মাঝে ইতিবাচক মানসিকতা আনার চেষ্টা করছেন। ডিফেন্ডার স্টেফান মিত্রোভিচ বলেন, ‘তিনি বিশ্বকাপে খেলেছেন। আমাদের মাঝে শুরু থেকেই ইতিবাচক মানসিকতা আনার চেষ্টা করছেন। নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে আমাদের সাফল্যের পথ দেখাতে পারেন তিনি।’ ব্রাজিলের কাছে হারের পর সার্বিয়ার স্পোর্টিং ডিরেক্টর স্টেভান স্টোয়ানোভিচ বলেন, ‘মনে হচ্ছিল, ওরা প্রথমার্ধেই হেরে বসেছে। ড্রেসিংরুমের খেলোয়াড়রা বোধ করি মনে করছিল, শক্তিশালী ব্রাজিলের বিপক্ষে তাদের কিছুই করার নেই।

ব্রাজিলকে শ্রদ্ধা করা ঠিক আছে। কিন্তু নিজেদের অপমান করা অনুচিত।’ ক্যামেরুনকে নিয়ে সার্বিয়ার খেলোয়াড়দের সর্তক করলেন স্টয়ানোভিচ। তিনি বলেন, ‘আফ্রিকানদের নিয়ে আগেভাগে কিছু বলা যায় না। তাদের কয়েকজন গতিময় ফুটবলার আছে। আগের ম্যাচে প্রথমার্ধে দু-তিনটা চান্স তৈরি করেছিল ক্যামেরুন। শুধু তারা বুঝতে পারেনি ওগুলো কীভাবে কাজে লাগানো যায়।’ এর আগে মাত্র একবারই দেখা হয়েছিল সার্বিয়া-ক্যামেরুনের।

২০১০ বিশ্বকাপের আগে প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হয় তারা। বেলগ্রেডের ওই ম্যাচে ৪-৩ গোলে হারে ক্যামেরুন। ইউরোপিয়ান দলের বিপক্ষে বিশ্বকাপে মোটেও সুবিধা করতে পারেনি আফ্রিকান জায়ান্টরা। ১৫ ম্যাচ খেলে মাত্র এক জয় তাদের। হেরেছে ৯টি, ড্র হয়েছে ৫ ম্যাচ। বিশ্বকাপে সার্বিয়ার সর্বশেষ জয় ২০০২ সালে। স্যামুয়েল ইতোর গোলে সৌদি আরবকে ১-০তে হারিয়েছিল তারা। সার্বিয়ার বিপক্ষে একজন ‘ইতো’ প্রয়োজন ক্যামেরুনের। সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ব্রায়ান এমবিউমোর কাছ থেকে বেশি কিছুই চাইবে দলটি। ব্রেন্টফোর্ডে খেলা এই স্ট্রাইকার জাতীয় দলের জার্সিতে এখনো কোনো গোল করতে পারেননি।

Development by: webnewsdesign.com