সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ রায় দেন।
আপিল বিভাগ কায়সারকে ৫, ১২ ও ১৬ নম্বর অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। এছাড়া ৪টি অভিযোগে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং ৪টি অভিযোগে খালাস এবং বাকি অভিযোগগুলোতে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়।
গত ৩ ডিসেম্বর এ মামলায় উভয়পক্ষের শুনানি শেষে রায়ের জন্য ১৪ জানুয়ারি দিন ঠিক করে দেন প্রধান আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ।
আদালতে সৈয়দ কায়সারের পক্ষে শুনানি করেন এস এম শাহজাহান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
গত বছরের ১০ জুন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে সৈয়দ কায়সারের আপিলের শুনানি শুরু হয়।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কায়সারকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে ২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর রায় দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। তার বিরুদ্ধে গণহত্যা, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ ও লুণ্ঠনের ১৩টি ও ধর্ষণের দু’টিসহ মোট ১৬টি অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে ১৪টি ট্রাইব্যুনালের রায়ে প্রমাণিত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় রায়ে। ৩, ৫, ৬, ৮, ১০, ১২ ও ১৬ নম্বর অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
এছাড়া ১, ৯, ১৩ ও ১৪ নম্বর অভিযোগে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং ২ নম্বর অভিযোগে ১০ বছর, ৭ নম্বর অভিযোগে সাত বছর ও ১১ নম্বর অভিযোগে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেন আদালত। ৪ ও ১৫ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ অভিযোগগুলোতে কায়সারকে কোনো সাজা দেননি আদালত।
এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ১৯ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল দায়ের করেন সৈয়দ কায়সার। আপিলে খালাসের আরজিতে ৫৬টি যুক্তি তুলে ধরা হয়। এছাড়া ৫০ পৃষ্ঠার মূল আপিলের সঙ্গে প্রয়োজনীয় নথি সংযুক্ত করা হয়।
আপিল বিভাগের রায়ের পর পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ হিসেবে রিভিউ আবেদন নিষ্পত্তি হলে রায় রায় কার্যকরের আর কোনো বাধা থাকবে না।
Development by: webnewsdesign.com