রূপঞ্জের ঢাকা সিলেট মহাসড়কে ফুটপাতে কাঁচাবাজার

উচ্ছেদ আর দখল নিয়ে চলে চোর পুলিশের খেলা

রবিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ৫:০৩ অপরাহ্ণ

উচ্ছেদ আর দখল নিয়ে চলে চোর পুলিশের খেলা
apps

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ঢাকা – সিলেট মহাসড়কের ভুলতা গাউছিয়া এলাকার ফুটপাত দখল করে গড়ে উঠা বিশাল কাঁচাবাজার উচ্ছেদ নিয়ে হকার আর পুলিশের সাথে প্রতিদিন চলে চোর পুলিশের খেলা। একদিকে ফুটপাত উচ্ছেদ করে পুলিশ আর অন্য দিকে দখল করে নেয় হকাররা।
ঢাকা সিলেট মহাসড়কের ভুলতা ফ্লাইওভার এলাকায় তিন ধরনের আইনশৃখংলার বাহিনী থাকার পরও মহাসড়কের ফুটপাত হকারদের দখলমুক্ত করতে পারেনি। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ এখানে কর্তব্যরত আছে কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশ ও ফাঁড়ির পুলিশ। তার পরও প্রশাসন কোনভাবেই মহাসড়কটি দখলমুক্ত করতে পারছেনা কেন এমনই প্রশ্ন জনমনে। তাহলে কি প্রশাসনের পক্ষ থেকে হকারদের অলিখিত কোন অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফুটপাত নিয়ে হাইওয়ে পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, দিনরাত ফুটপাত দখলমুক্ত করার জন্য সকাল বিকাল চেষ্টা করে যাচ্ছি কিন্তু ফুটপাত ও মহাসড়কটি দখলমুক্ত করা সম্ভব হচ্ছেনা। এলাকাবাসীও স্থানীয় ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, হাইওয়ের পুলিশ দিনে দুই একবার দেখা যায়, তারা চলে যাওয়ার সাথে সাথে হকাররা মহাসড়ক দখল করে নেয়।

মহাসড়ক দখল নিয়ে ভুলতা ফাঁড়ির পুলিশ বলেন, আমাদের ভিআইপি নিয়ে বেশিসময় ব্যস্ত থাকতে হয়। তার পরও ৯৯৯ নাম্বারে কল আসলে সেখানে যেতে হয়। তার পরও আমাদের সামনে মহাসড়কে ফুটপাত বসলে সাথে সাথে উচ্ছেদ করার চেষ্টা করি। উচ্ছেদের কিছু সময়ের মধ্যেই হকারেরা আবার দখল করে ফেলে। এ যেন আসলেই চোর পুলিশের খেলার মত ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানকার চোর পুলিশের খেলার অবসান চায় এলাকাবাসী। সচেতনমহল অভিযোগ করে বলেন। এ খেলায় লাভবান হচ্ছে ফাঁড়ির কতিপয় পুলিশ আর সরকার দলীয় নেতারা।
এলাকাবাসী জানান, ফুটপাতের হকারদের কাছ থেকে প্রতিদিন প্রায় লাখ টাকা চাঁদা আদায় করে নিচ্ছে চাঁদাবাজরা।

সরেজমিন ঘুরে জানা যায়(৪ ফেব্রুয়ারী) শুক্রবার ফাঁড়ি পুলিশের একটি দল গোলাকান্দাইল চৌরাস্তা থেকে ফাঁড়ি পর্যন্ত পরিস্কার করলেও তাঁতবাজার থেকে গোলাকান্দাইল পর্যন্ত পুরো এলাকা হকাররা দখলে রেখেছে।

ঢাকা সিলেট মহাসড়কের তাঁতবাজার এলাকার সামনের মহাসড়ক ও ফুটপাতটি দখলে নেয় শত শত ভ্যানগাড়ী। হকাররা মহাসড়ক ফুটপাতটি দখলে নেয়ার সাথে সাথেই গোলাকান্দাইল চৌরাস্তার বেবীট্যাক্সি ষ্ট্যান্ডটিও দখল করে নেয় ট্যাক্সীচালকরা। এখানে যেন চলতে থাকে দখলের মহা উৎসব। যদিও সিএনজি ও অটোরিকশা স্ট্যান্ড হাইওয়ে পুলিশ বক্স সংলগ্ন। সচেতন মহল মনে করেন এখানে পুলিশ বক্স থাকার পরও কেন তাদের কিছু বলে না। এর পিছনে পুলিশের যোগসাযোগ আছে কি না এটা ক্ষতিয়ে দেখা দরকার। কেনই বা তারা বক্সে থাকার পরও অভিযানের সময় ছাড়া কিছু বলে না।
মহাসড়কে হকাররা ভ্যানগাড়ি ও ফুটপাত দখল করায় মহাসড়কে সারাদিনই লেগে থাকে দীর্ঘ যানজট। যানজটে ভুগান্তি স্বিকার হয় পথচারীসহ যানজটে আটকে পড়ে পরিবহন যাত্রীরা।

সাধারণ মানুষের অভিযোগ ভুলতা এলাকায় পুলিশ ফাঁড়ির সামনে মহাসড়কে ফুটপাত, ওদিকে গোলাকান্দাইল চৌরাস্তায় রয়েছে হাইওয়ে পুলিশ বক্স, এর পরও কেন থাকবে যানজট, কেনই বা মহাসড়ক দখল করে বসবে ভ্যানগাড়ির বিশাল লাইন।

সব মিলে আইনশৃংখলার চরম অবনতি হয়েছে বলে দাবী করেন সচেতনমহল । নানা সমস্যায় জর্জরিত এলাকাটি যেন দেখার কেউ নেই, এখানকার কয়েকজন পুলিশের নিস্কৃয়তায় পুলিশ বাহিনির সুনাম ও অর্জন নষ্ট হচ্ছে বলে মনে করেন অভিজ্ঞমহল।

উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের দৃষ্টি একান্তভাবে কামনা করেন এলাকার সচেতনমহল। এব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ বলেন, এটা হাইওয়ে পুলিশের কাজ। তারপরও আমরা বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে ফুটপাত দখলমুক্ত করেছি। হাইওয়ে পুলিশের মাববুবুর রহমান বলেন, ফুটপাত দখলমুক্ত রাখতে আমাদেও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Development by: webnewsdesign.com