ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পাঁচটি ইউনিট মানবাধিকার লঙ্ঘন-আমেরিকা

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | ১১:১৬ পূর্বাহ্ণ

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পাঁচটি ইউনিট মানবাধিকার লঙ্ঘন-আমেরিকা
apps

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পাঁচটি ইউনিট মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ইহুদিবাদী এসব সেনার মানবাধিকার লঙ্ঘনের এই ঘটনাগুলো ঘটেছে ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের বাইরে এবং গাজার চলমান যুদ্ধের আগে। এদিকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের পরও ইসরায়েলি বাহিনীর জন্য মার্কিন সামরিক সমর্থন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পৃথক ঘটনায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর পাঁচটি ইউনিট মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী বলে প্রমাণ পেয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর। তবে তারা বলেছে, তারা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে মার্কিন সামরিক সমর্থন দেওয়া অব্যাহত রাখবে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের এই সমস্ত ঘটনা বর্তমান যুদ্ধের আগে গাজার বাইরে সংঘটিত হয়েছিল। ইসরায়েল চারটি ইউনিটে সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে এবং পঞ্চমটির বিষয়ে ‘অতিরিক্ত তথ্য’ দিয়েছে বলে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলছে। এর অর্থ হচ্ছে- সমস্ত ইউনিটই মার্কিন সামরিক সহায়তা পাওয়ার জন্য যোগ্য থাকবে। ইসরায়েলের প্রধান সামরিক সহায়তা প্রদানকারী দেশ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি প্রতি বছর ইসরায়েলকে ৩.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের অস্ত্র এবং প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহ করে থাকে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর যেকোনও ইউনিটের বিরুদ্ধে মার্কিন সরকারের এই ধরনের ঘোষণা এটিই প্রথম। স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেছেন, নিরাপত্তা বাহিনীর পাঁচটি ইউনিট মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন করেছে। তিনি বলেছেন, “এই ইউনিটগুলোর মধ্যে চারটি কার্যকরভাবে এই লঙ্ঘনের প্রতিকার করেছে, যা আমরা অংশীদারদের কাছ থেকে আশা করি। বাকি একটি ইউনিটের বিষয়ে আমরা ইসরায়েল সরকারের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি; তারা সেই ইউনিটের সাথে সম্পর্কিত অতিরিক্ত তথ্য জমা দিয়েছে।” অবশ্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের এই ঘটনায় কোনও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হয়েছে কি না তা বলতে না পারলেও ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এসব ইউনিটে সামরিক সহায়তা অব্যাহত রাখা তথা রাজনৈতিক চাপে (কঠোর অবস্থান নেওয়া থেকে) যুক্তরাষ্ট্র পিছিয়ে গেছে বলে ওঠা দাবিকে অস্বীকার করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগ। বেদান্ত প্যাটেল বলেছেন, “আমরা এখন একটি প্রক্রিয়ায় তাদের সাথে জড়িত আছি, এবং যখন সেই প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ হবে তখন আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।” সূত্র: বিবিসি

Development by: webnewsdesign.com