ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের কার্যক্রম দৃশ্যমান নয় বলে অভিযোগ তুলেছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ব্যবস্থা না নিলে কমিশনের প্রতি জনগণের আস্থার সংকট নিরসন সম্ভব হবে না বলে তিনি মনে করেন। এ বিষয়ে জরুরিভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) ইউও নোট (আন-অফিসিয়াল নোট) দিয়েছেন তিনি। এ নিয়ে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে এই নির্বাচন কমিশনার তিনটি ইউও নোট দিলেন।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) সিইসির কাছে তৃতীয় এই ইউও নোট পাঠানো হয় বলে ইসি সূত্র জানিয়েছে। সেই সঙ্গে অন্য তিন নির্বাচন কমিশনার এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাদেরও এর অনুলিপি দেওয়া হয়েছে।
মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে ইসি ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে কমিশনের প্রতি জনগণের আস্থার সংকট নিরসন সম্ভব হবে না। কমিশন আইনানুগভাবে দৃঢ়তার সঙ্গে নির্বাচনি কার্যক্রম পরিচালনা করতে না পারলে আসন্ন ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসির ভূমিকা সম্পর্কে জনমনে প্রশ্নের উদ্রেক হবে এবং কমিশনের নিষ্ক্রিয়তা জনসমক্ষে প্রতিভাত হবে।’
মাহবুব তালুকদার আরও বলেন, এর আগে ১৩ জানুয়ারি দেওয়া এক চিঠিতে তিনি সংসদ সদস্যদের নির্বাচনি প্রচারণা বা নির্বাচনি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ বন্ধে একটি পরিপত্র জারির অনুরোধ করেছিলেন। পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, নির্বাচনে সমন্বয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন সংসদ সদস্য নির্বাচনি কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। আরেকজন সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ঢাকা শহরে রাজনৈতিক বক্তৃতা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এসব কার্যক্রম সম্পর্কে ইসির সুস্পষ্ট নির্দেশনাসহ পরিপত্রটি জারির আবশ্যকতা রয়েছে।
তিনি বলেন, সোমবার ‘প্রথম আলো’ পত্রিকায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) একটি বিজ্ঞাপন প্রচারিত হয়েছে। এটির শিরোনাম ‘ফিরে দেখা ২০১৯ মশক নিয়ন্ত্রণ’। এই বিজ্ঞাপনে ডিএনসিসি নির্বাচনে বিগত বছরে মশক নিয়ন্ত্রণের নানা ধরনের ফিরিস্তি দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপনটি ডিএনসিসির সদ্যবিদায়ী মেয়রের পক্ষে তার সাফল্যের প্রচারণা ছাড়া আর কিছু নয় মন্তব্য করে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ডিএনসিসির এই প্রচারণার জন্য দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।
মাহবুব তালুকদার আরও বলেন, প্রার্থীদের হলফনামা নিয়ে নানা অভিযোগ আছে। হলফনামা যাচাইয়ের কোনও উদ্যোগ নির্বাচন কমিশনে পরিলক্ষিত হচ্ছে না। এতে হলফনামা দেওয়ার বিধান প্রশ্নের সম্মুখীন, যাতে নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এসব বিষয় বিবেচনা করে জরুরিভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
Development by: webnewsdesign.com