সগিরা মোর্শেদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আদালতে চারজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ৩০ বছর আগে সংঘটিত ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৩০৯ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করে পিবিআই।
বৃহস্পতিবার ধানমন্ডিতে পিবিআই সদর দপ্তরে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার।
মামলার আসামিরা হলেন- নিহতের ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী, তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহীন, হাসান আলীর শ্যালক আনাস মাহমুদ ওরফে রেজওয়ান এবং ভাড়াটে খুনি মারুফ রেজা।
ছয় মাস তদন্তের পর পিবিআই এই অভিযোগপত্র প্রস্তুত করে। অভিযোগপত্রে আসামিদের মৃত্যুদণ্ড দাবি করেছে সংস্থাটি।
১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে প্রকাশ্য দিবালোকে নির্মমভাবে হত্যার শিকার হন সগিরা মোর্শেদ। পিবিআই দীর্ঘদিনের মামলাটি দায়িত্ব নিয়ে দ্রুত সময়ে অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়েছে বলে জানান বনজ কুমার।
পিবিআই প্রধান বলেন, ‘মামলটি যখন পিবিআইয়ের কাছে আসে তখন আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেই। তদন্ত করতে গিয়ে আমরা জানতে পারি নিহত সগিরা মোর্শেদের পরিবারের সঙ্গে আসামি শাহীনের বিভেদ তৈরি হয়। এর মধ্যে ছিল শাহীন তার তিন তলার বাসা থেকে সগিরা মোর্শেদের রান্নাঘর ও বারান্দায় ময়লা ফেলত। এছাড়া শাশুড়ি সগিরাকে অনেক পছন্দ করত এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সগিরা-শাহীনের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। ‘তুমি’ বলা নিয়েও পারিবারিক দ্বন্দ্ব ছিল।’
বনজ কুমার জানান, ‘সগিরার কাজের মেয়ে জাহানুরকে মারধর করে ডা. হাসান আলী চৌধুরী। এই নিয়ে পারিবারিক বৈঠকে শাহীন সগিরাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। আসামিদের নিয়ে রাজারবাগ বাসার তৃতীয় তলায় সগিরাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ডা. হাসান আলী তার চেম্বারে আসামি মারুফ রেজার সঙ্গে ২৫ হাজার টাকায় হত্যার চুক্তি করে। ১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী মারুফ রেজা ও আনাস মাহমুদ প্রকাশ্য দিবালোকে সগিরা মোর্শেদকে গুলি করে হত্যা করে।’
দীর্ঘ চার্জশিট তৈরি হলেও এই ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্র, মোটরসাইকেল, নিহতের পোশাক ও রিকশা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
Development by: webnewsdesign.com