শেখ হাসিনা ইন্সটিটিউট অব আইসিটি এর স্থায়ী করণের দাবিতে মানববন্ধন

মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | ৪:৫২ অপরাহ্ণ

শেখ হাসিনা ইন্সটিটিউট অব আইসিটি এর স্থায়ী করণের দাবিতে মানববন্ধন
apps

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘শেখ হাসিনা ইন্সটিটিউট অব আইসিটি এর স্থায়ী করণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে আইসিটি ইন্সটিটিউটের সকল শিক্ষার্থীরা। “

মঙ্গলবার (১১ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান পটকে ( মেইন গেইট) বেলা ১২টায় প্রায় একশতদিক শিক্ষার্থীর উপস্থিতে এই মানববন্ধন হয়েছে।

এব্যাপারে আইসিটি ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা জানান, “প্রশাসন আমাদের সাথে প্রতারনা করেছে ৷ আমাদের সকল সুবিধার কথা বলা হলেও সেগুলো আমরা পাচ্ছিলাম না ৷ পরবর্তীতে ভিসি অপসারনের আমরা যখন ক্যাম্পাসে আসি এখানেও আমরা পর্যাপ্ত সুবিধা পাচ্ছি না ৷ আমরা নিজ ভার্সিটিতে রোহিঙ্গার মতো অবস্থান করছি ৷ এখানে কোনো স্যারের কাছ থেকে সহানুভূতি পাচ্ছি না ৷ নিজস্ব কোনো প্রশাসন পাচ্ছি না ৷ আমাদের ঠিক মতো পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে না ৷ রেজাল্টও ঠিক মতো পাচ্ছি না ৷ এক কথায় আমরা এখানে অবহেলিত অবস্থায় রয়েছি ৷ আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সঙ্কায় রয়েছি ৷ আমাদের পরিবারও আমাদের নিয়ে খুবই চিন্তিত ৷ আমাদের দাবী আমাদের পর্যাপ্ত পরিমান ল্যাব ব্যবস্থা করতে হবে, নিজস্ব শিক্ষক চাই, নিজস্ব গভর্নিং বডি চাই, হল সুবিধা চাই, পরবর্তী ব্যাচ ভর্তি করে ইনস্টিটিউট চলমান চাই৷”

 

এব্যাপারে আইসিটি ইন্সটিটিউটের প্রথম ডিন অধ্যাপক ড. বি কে বালা জানান, “আমি যখন ‘শেখ হাসিনা ইন্সটিটিউট অব আইসিটি ‘ এর দায়িত্বে ছিলাম তখন আমি জানতাম তাদের সকল ধরনের সুবিধা দেওয়া হবে । এখন আমি এই ইন্সটিটিউট এর দায়িত্বে নেই, এখন এই আইসিটি ইন্সটিটিউটের ব্যাপারে কিছুই জানি না। “

এব্যাপার আইসিটি ইন্সটিটিউটের বর্তমান ডিন অধ্যাপক ড. মো:শাহজাহান বলেন, ” এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের চলতি উপাচার্য ড.মোঃ শাহজাহান জানান,”অবকাঠামো সহ পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত হওয়ার পর শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে এমন শর্তে ইনিস্টিটিউটটির অনুমোদন দিয়েছিলো বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। কিন্তু সাবেক উপাচার্য নূন্যতম সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত না করেই ইনিস্টিটিউটের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে যার ফলে এধরণের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।”

উপাচার্য জানান, “তাদের অবস্থা দুঃখজনক, কিন্তু এই অবস্থা নিরসনে যেসকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন সেগুলো চলতি উপাচার্য হিসেবে আমার ক্ষমতার বাইরে।”

উল্লেখ্য,বশেমুরবিপ্রবির অধীনে তৃতীয় ইনিস্টিটিউট হিসেবে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ থেকে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইন্জিনিয়ারিং (বিভাগ) এবং ইলেকট্রনিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইন্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগ নিয়ে শিবচরে যাত্রা শুরু করে শেখ হাসিনা ইন্সটিটিউট অব আইসিটি। শিবচরে কোনো ধরনের অবকাঠামো না থাকায় ২০১৯ এর ডিসেম্বরে শিক্ষার্থীদের গোপালগঞ্জের মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তর করা হয়।

বর্তমানে ইনস্টিউটটির অধীনে একশতাধিক শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত রয়েছে।

Development by: webnewsdesign.com