রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে তিন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছে চীন।তিন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে বসতে রাজি হলেও এর ফলাফল নিয়ে সংশয় রয়েছে বাংলাদেশের। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, ওই বৈঠকে অং সান সুচির উপস্থিতির শর্ত দিয়েছে বাংলাদেশ।
শেষ দফায় ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা সমস্যা শুরু হবার পর থেকেই বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারকে দ্বিপাক্ষিকভাবে সমস্যা সমাধানের কথা বলে আসছে চীন। এতে, দুই দেশের মধ্যে প্রত্যাবাসন চুক্তি হলেও ফেরানো যায়নি একজন রোহিঙ্গাকেও। তবে, গেল রবিবার ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূতকে নিজ কার্যালয়ে ডেকে কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় চীনের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে তিনদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের প্রস্তাব দেয়া হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, এই বৈঠকে বসতে রাজি বাংলাদেশ। তবে, মিয়ানমারের আচরণ বলছে এ ধরনের বৈঠকে কোনও কাজ হবে না। আর, বৈঠকে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুচিকে রাখার শর্ত দিয়েছে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘তারা প্রস্তাব দিয়েছে আমরা অবশ্যই যাব। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে যদি কোনও অগ্রগতি হয় তাহলে আমরা তা অবশ্যই গ্রহণ করব। সে সময় আমি তাদের জানিয়েছি বৈঠকে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলরকে উপস্থিত থাকতে হবে।’ চীন তাদের নিজেদের স্বার্থেই রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান চায় বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে দিতে বাংলাদেশ কূটনৈতিকভাবে ব্যর্থ হচ্ছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রথম থেকেই ঠিক পথে রয়েছে বাংলাদেশ। রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাও কিছু প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে বলে মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
Development by: webnewsdesign.com