রাজশাহীর বাগমারায় তিন দফা বন্যায় নষ্ট হয়েছে ৩২ কোটি টাকার ফসল নষ্ট হয়েগেছে। ধান, পান, আখ ও বিভিন্ন সবজি এখনো পানির নিচে তলিয়ে থাকায় ৩১ হাজার কৃষক পড়েছেন বিপাকে। ফসল উৎপাদনে নেয়া ঋণ নিয়ে দুঃশ্চিন্তার শেষ নেই চাষিদের। বানের পানিতে পুকুর ভেসে যাওয়ায় মাছ চাষিরা পড়েছেন লোকসানে। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে জেলা কৃষি অধিদপ্তর।
বাগমারা উপজেলা কুলিবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা কৃষক আকরাম আলী। ছয় বিঘা জমিতে রোপণ করেছিলেন আমন ধান। বানের পানি নামতে শুরু করায় তলিয়ে যাওয়া ক্ষেতে কোথাও কোথাও জেগেছে ধানের শীষ। কিন্তু সেটি চেয়ে দেখা আর আফসোস করা ছাড়া কিছুই করার নেই তার।
তিনি বলেন, প্রথমে একবার বন্যার পানিতে ধানের চারা তলিয়ে যায়। পরে আরেকবার চারা লাগাই এবারও তলিয়ে গেছে। আমাদের সব শেষ। সামনে আমরা কি বাচবো। একই অবস্থা উপজেলার বন্যা কবলিত ১১ ইউনিয়নের অন্তত ৩১ হাজার কৃষকের। দফায় দফায় বন্যার পানিতে পচেছে পানের বরজ। আগাম শীতকালীন সবজির ফলন্ত গাছগুলোর অবস্থা জবুথবু। পচেছে ক্ষেতের বেগুন, লাউ, পটলসহ নানা সবজি। ভেসেছে ঘেরের মাছ। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা, আমাদের ক্ষেত্রে সব ধরনের সবজি বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। শীতকালীন সবজি আবাদ করেছিলাম। এখন সব শেষ। বন্যায় ফসল ঘরে তুলতে না পারায় ঋণ পরিশোধ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকেরা।
এ অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিলম্বে ঋণের অর্থ আদায় করবে বেসরকারি সংস্থাগুলো বলে আশ্বাস দিয়েছেন রাজশাহী বাগমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরিফ আহম্মেদ।
তিনি বলেন, যেসব এনজিও রয়েছে, তাদের প্রতিনিধির সঙ্গে আমরা কথা বলেছি; বলেছি তারা যেন দেরি করে ঋণ নেয়। তারাও আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে রবি মৌসুমে প্রণোদনা হিসেবে ফসলের উপকরণ সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে কৃষি বিভাগ।
রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক মো: শামছুল হক বলেন, রবি মৌসুমে গম, ভুট্টা ও সার দিয়ে কৃষকদের সহায়তা করতে পারবো।
জেলা কৃষি বিভাগ বলছে, ইতোমধ্যে মাসকালাই ও সবজির বীজ বিতরণ শুরু করেছেন তারা।
Development by: webnewsdesign.com