আজ সেই ভায়াল দিন। ২০১৭ সালের ১১ মে এইদিন রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটা ইউনিয়নের হাবাসপুর বেনীপুরে জঙ্গি আস্তানা খোঁজ মিললে একই পরিবারের ৫ জঙ্গিসহ ফায়ার সার্ভিস কর্মী আব্দুল মতিন জঙ্গিদের হাসুয়ার এলাপাথারি কোপে মারা যায়।
সেই দিন নিজ চোখে যারা সব কিছু প্রত্যক্ষ করেছিলো তারা অবাক হয়েছিলো জঙ্গিরা আসলেই কতটা বেপরোয়া আর আত্মঘাতি হয়।সেদিন গোদাগাড়ীতে জঙ্গি আস্তানা ঘিরে ‘সান ডেভিল’ নামে পরিচালিত অভিযানে এক পরিবারের পাঁচজন জঙ্গি নিহত হয়েছে। আর জঙ্গিদের হামলায় নিহত হয়েছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মী আব্দুল মতিন।
সেদিন ১১ মে সকালে গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটা ইউনিয়নের হাবাসপুর মাছমারা বেনীপুর গ্রামে এ ঘটনায় বোমার স্পিøটার ও জঙ্গিদের হামলায় সাত পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছে।
নিহত পাঁচ জঙ্গির লাশ বাড়ির সামনেই পড়ে থাকে । তাদের মধ্যে ওই বাড়ির মালিক সাজ্জাদ হোসেন, তার স্ত্রী বেলী, তাদের ছেলে আলামিন, মেয়ে কারিমা এবং আশরাফুল নামের এক জঙ্গি ।
পুলিশ ও জঙ্গিদের যুদ্ধে সাজ্জাদের মেয়ে সুমাইয়া মাত্র কয়েকমাসের শিশু কোলে নিয়ে ও ৮-১০ বছরের ছেলেকে নিয়ে জমির উপরে দাঁড়ালে আল্লাহর অলৈকিক ক্ষমতায় বেঁচে যায়। সেই সুমাইয়া তার পিতা ও ভায়ের জঙ্গি কর্মকান্ডের ঘোর বিরোধিতা করতো বলে জানা যায়।
এসময় ধারালো অস্ত্র হাতে এক নারী জঙ্গিকে দেখা যায় এলোপাতাড়ি কোপাতে। আহতদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ফায়ারম্যান আবদুল মতিন পরে হাসপাতালে মারা যান।
২০১৭ সালের ১১ মে ঘটনা ঘটে যাওয়ার ২০২২ সালে আজ তা ৫ বছর পূর্ণ হচ্ছে। সে দিন আব্দুল মতিনের সঙ্গে জঙ্গি আস্তানায় অভিযানে অংশগ্রহণকারী ফায়ার সার্ভিসকর্মী মিজানুর রহমান সেদিনরে ঘটনার স্মৃতিচারণ করে নিজ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে স্মরণ করছেন দিনটিকে।
তিনি তাঁর টাইম লাইনে লিখেছেন, আজ ১১ মে আমাদের জন্য এক শোকের দিন ২০১৭ সালের এই দিনে ফায়ারম্যান আব্দুল মতিন ভাই গোদাগাড়ী ফায়ার স্টেশনে কর্মরত থাকা অবস্থায় পুলিশের সাথে জঙ্গী অভিযানে অংশ নিয়ে জঙ্গীদের হামলায় শহীদ হন। আল্লাহ তাঁকে জন্নাত বাসী করুন।
সে দিন তিনি স্টেশনে নিজেদের গড়া প্রানপ্রিয় মসজিদে ফজরের আজন দিয়ে নামাজ পড়েছিলেন। সকাল পৌনে ৮টার দিকে ওই বাড়ি থেকে কয়েকজন বেরিয়ে আসে এবং বাইরে থাকা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।
এছাড়াও ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ হতে তার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়েছে।
Development by: webnewsdesign.com