বাশেঁর সাঁকোই ১০টি গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা

বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | ৩:৪৩ অপরাহ্ণ

বাশেঁর সাঁকোই ১০টি গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা
apps

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের ১০টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা বাশেঁর সাঁকো। কমলগঞ্জ পৌর এলাকার করিমপুরস্থ ধলাই নদীর ওপর দীর্ঘ ৪৫ বছরেও কোন সেতু নির্মিত না হওয়ায় ঐ বাশেঁর সাঁকোই চলাচলের একমাত্র ভারসা। এই খেয়াঘাটে একটি সেতু নিমার্নের দাবী জানিয়ে আসলেও দীর্ঘ ৪৫ বছরেও কোন সেতু নির্মাণ হয়নি। এতে করে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ১০ গ্রামের বাসিন্দাদের।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পৌর এলাকার করিমপুর খেয়াঘাট এলাকায় পৌরসভার পাকা সড়ক রয়েছে। নদীর ওপর পাশেও সড়ক আছে সেটা অর্ধেক পাকা। পৌরসভা ও সদর ইউপির লোকজন উপজেলা সদরে সহজে আসতে ধলাই নদীর উপর একটি বাশেঁর সাকো তৈরী করে এলাকাবাসী যাতায়াত করছেন।

 

প্রতিদিন এই সাকোঁ ব্যবহার করে ১০টি গ্রামের হাজারো মানুষসহ শত শত স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীরা স্কুল কলেজে ও হাসপাতালে অসুস্থ্য রোগীকে নিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হয়ে থাকেন। শুধু চলাচল নয় কৃষকরাও এত ক্ষতিগ্রস্ত হন।

কমলগঞ্জ সদর ইউপির রামপুর, চৈতন্যগঞ্জ, নারায়ণপুর, বাদে উবাহাটা, রামপাশাসহ ১০টি গ্রামের লোকজন উপজেলা বা জেলা সদরে যেতে হলে প্রায় ১০ কিলোমিটার ঘুরে আসতে হয়। অনেক সময় অসুস্থ্য রোগীকে নিয়ে পড়েন বিপাকে। চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় এলাকাবাসীদের। দীর্ঘদিন ধরে এই স্থানে একটি ব্রীজ নির্মানের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে দাবী জানিয়ে আসছেন এলাকাবাসী।

স্থানীয়রা জানান, ধলাই নদীর এই জায়গায় একটি ব্রীজ নিমার্ণেও জন্য স্থানীয় জন-প্রতিনিধি ও প্রশাসনের কাছে দাবী জানিয়ে আসলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। ঝুঁকিপূর্ণ এই সাকোঁ পারাপারে প্রায় সময় নদীতে পড়ে মানুষজন আহত হন। বর্ষা মৌসুমে নদীর পানি বেড়ে গেলে দূর্ঘটনার ঝুকিও বেড়ে যায়। প্রাণহানীর আশংকার মধ্য দিয়েও তবুও সাকো দিয়ে চলাচল করতে হয়।

স্থানীয়রা দ্রুত একটি ব্রীজ নিমার্নের জন্য দাবী জানান। স্থানীয় কাউন্সিলর দেওয়ান আব্দুল রহিম বলেন, আমরা স্থানীয় এমপি ও উপজেলা প্রশাসনকে একটি সেতু নির্মানের জন্য দাবী জানিয়েছি। তবে এখনো কোনো উদ্যোগ গ্রহন না করায় এলাকাবাসীর দাবী অপেক্ষীত।

 

কমলগঞ্জ সদর ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান বলেন, খেয়াঘাটে একটি সেতু নির্মাণের জন্য এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবী। এখানে সেতু নির্মিত হলে উপজেলা সদরে সাথে যোগযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হবে ও ১০ গ্রামের মধ্যে একটি সেতুবন্ধন তৈরি হবে।
এ বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম বলেন, সরেজমিনে পরির্দশন করে বিষয়টি উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

Development by: webnewsdesign.com