প্রেমের ফাঁদ, কাজসহ বিভিন্ন কৌশলে মানুষকে বাসায় ডেকে নেয়। তাদের ফাঁদে পা দিয়ে বাসায় গেলে আটকে রেখে এ চক্রের নারী সদস্যের সঙ্গে অশ্লীল ছবি ও ভিডিও চিত্র ধারণ করে ব্ল্যাকমেল করে টাকা দাবি করা হয়।
জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেতে এ চক্রের সদস্যদের দাবি করা টাকা দিতে হয় ভুক্তভোগীকে। পরবর্তীতে ধারণ করা অশ্লীল ছবি ও ভিডিও চিত্র অনলাইনে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে কয়েক দফায় হাতিয়ে নেওয়া হয় বিপুল টাকা।
এমন একটি প্রতারক চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেফতারের পর বুধবার (২২ জানুয়ারি) এসব তথ্য জানিয়েছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ।
গ্রেফতার ছয় প্রতারক হলো- মো. আবু তাহের (৪৮), হামিদা আক্তার রুনা (৩০), মনোয়ারা বেগম মিনু (৩৫), রিয়া বেগম (২৭), জনি রাণী দে (২৪) ও জোবাইদা সুলতানা হিরা(২০)।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) ভোরে নগরের ইপিজেড থানাধীন বন্দরটিলা বক্স আলী মুন্সি রোড ওলি আহাম্মদ কলোনি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে বাংলানিউজকে জানান নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) মিজানুর রহমান।
তাদের কাছ থেকে একটি লোহার চেইন, একটি চাকু, চারটি মোবাইল সেট, ৫ হাজার টাকা, একটি দেশীয় তৈরী সর্ট রাইফেল ও একটি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (দক্ষিণ) পিযুষ চন্দ্র দাস গনমাধ্যমকে বলেন, প্রেমের ফাঁদ, কাজসহ বিভিন্ন কৌশলে মানুষকে বাসায় ডেকে নেয় প্রতারক চক্রের সদস্যরা। তাদের ফাঁদে পা দিয়ে বাসায় গেলে আটকে রেখে এ চক্রের নারী সদস্যের সঙ্গে অশ্লীল ছবি ও ভিডিও চিত্র ধারণ করে ব্ল্যাকমেল করে টাকা দাবি করা হয়।
তিনি বলেন, স্বর্ণ তৈরির করার কথা বলে দুই কারিগরকে ইপিজেড এলাকায় বাসায় ডেকে নেয় এ চক্রের সদস্যরা। পরে তাদের আটকে রেখে এ চক্রের নারী সদস্যের সঙ্গে অশ্লীল ছবি ও ভিডিও চিত্র ধারণ করা হয়।
দুই কারিগরের মধ্যে একজন তার পরিবারের মাধ্যমে বিকাশে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে তাদের কাছ থেকে ছাড়া পান। তিনি এসে ডিবি অফিসে অভিযোগ করেন। পরে অভিযোগের সূত্র ধরে তদন্তে নেমে ইপিজেড এলাকা থেকে প্রতারক চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। এ চক্রের সদস্য মো. আবু তাহের নিজেকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে জিম্মি ব্যক্তিদের ভয় দেখান। যোগ করেন পুলিশ কর্মকর্তা পিযুষ চন্দ্র দাস।
তিনি বলেন, এ চক্রের সদস্যদের কাছে এরকম আরও ব্যক্তি ব্ল্যাকমেলিংয়ের শিকার হয়েছেন। তারা লোকলজ্জার ভয়ে তা প্রকাশ করেননি।
Development by: webnewsdesign.com