যশোরে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে রোগীদের খাবার সরববরাহ যে কোন সময় বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। দীর্ঘ ৯ মাস ঠিকাদারের (খাবার সরবরাহকারী) টাকা বাকি থাকায় কারণেই এই আশঙ্কা। ঠিকাদার জানিয়েছেন, খাবার বাবদ ৮ লাখ টাকা বরাদ্দ হলেও নানা অজুহাতে উত্তোলনের অনুমোদন মিলছে না। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক বলেছেন, অনুমোদনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
প্রশানিক সূত্রে জানা গেছে, করোনারি কেয়ার ইউনিটের ২৮ শয্যায় চিকিৎসাধীন রোগীদের খাবার সরবরাহ করেন ঠিকাদার হাফিজুর রহমান শিলু। ২০২০ সালের জুন মাস পর্যন্ত ঠিকাদারের খাবার সরবরাহের টাকা পরিশোধ করা আছে। এরপর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত খাবারের বিল বাকি রয়েছে। ২০২০-২১ অর্থ বছরে ৮ সেপ্টেম্বর ৪ লাখ ও ১৬ নভেম্বরে ৪ লাখ মোট ৮ লাখ টাকা বরাদ্দ হলেও কাগজ পত্রের ত্রুটির কারণ দেখিয়ে এখনো অনুমোদন দেননি স্বাস্থ্য অধিদফতরের লাইন ডাইরেক্টর।
ঠিকাদার হাফিজুর রহমান শিলু জানান, খাবার সরবরাহ বাবদ ৯ মাসে বাকি পড়েছে ৮ লাখ ৩০ হাজার টাকা। বার বার তাগিদ দেয়ার পরও টাকা পরিশোধে কাগজ পত্রের নানা অজুহাত দেখানো হচ্ছে। ফলে তিনিও আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে রয়েছেন। এমনবস্থায় গত ফেব্রুয়ারি মাসে খাবার সরবরাহ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুরোধে এখনো রোগীদের মাঝে খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে এই অবস্থা চলতে থাকলে খাবার সরবরাহ বন্ধ করা ছাড়া কোন উপায় থাকবে না। এদিকে, সরকারি এই হাসপাতালে অধিকাংশ রোগী মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষ। যশোর ছাড়াও আশেপাশের জেলার রোগীরা এখানে চিকিৎসাধীন থাকেন। খাবার সরবরাহ বন্ধ হলে রোগীরা বিপাকে পড়বে। কারণ অনেকের তিনবেলা খাবার কিনে খাবার মতো সামথ্য নেই। তারা সরকারের সরবরাহকৃত খাবার খেয়ে থাকেন।
হাসপাতালের হিসাব রক্ষক মনিরুজ্জামান জানান, বরাদ্দের টাকা অনুমোদনের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরে একাধিকবার চিঠি পাঠানো হয়েছে। লাইন ডাইরেক্টর ত্রুটি দেখিয়ে যে কাগজ পত্র চেয়েছেন তাও পাঠানো হয়েছে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলীপ কুমার রায় জানান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের লাইন ডাইরেক্টর দরপত্রের বিষয় নিয়ে বিগত দিনে মামলাসহ নানা কাগজপত্র চেয়েছিলেন। সেগুলো পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দের অর্থ অনুমোদন দেয়ার জন্য মুঠোফোনে স্যারকে অনুরোধও করা হয়েছে। বিভিন্ন কাগজপত্র নিয়ে ক্যাশিয়ার ইসরাফিল হোসেনকে অধিদফতের পাঠানো হয়েছে। খুব শিগগির বরাদ্দের অর্থ অনুমোদন মিলতে পারে। তিনি আরও জানান, ঠিকাদার ইচ্ছা করলেই রোগীদের মাঝে খাবার বন্ধ করতে পারেন না। কারণ তিনি সরকারের সাথে চুক্তিবদ্ধ।
Development by: webnewsdesign.com