পুলিশের ওপর হামলার দায়ে জবির ৪ শিক্ষার্থীসহ ৫ জন কারাগারে

শনিবার, ৩০ জানুয়ারি ২০২১ | ১২:৪৭ অপরাহ্ণ

পুলিশের ওপর হামলার দায়ে জবির ৪ শিক্ষার্থীসহ ৫ জন কারাগারে
apps

রাজধানীর সূত্রাপুর থানা পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থীসহ পাঁচ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসীর আদালত এ আদেশ দেন।

কারাগারে যাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ১১ ব্যাচের শিক্ষার্থী সাদিক হৃদয়, নৃবিজ্ঞান বিভাগের ১২ ব্যাচের মেহেদী হাসান ওরফে সিফাত, ১১ ব্যাচের সাজেদুল ইসলাম ওরফে নাঈম, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ১৪ ব্যাচের মো. সোহানুর রহমান এবং জনৈক জয় দাস। এদের মধ্যে সাদিক হৃদয় ও সাজেদুল ইসলাম জবি ছাত্রলীগের শীর্ষ পদপ্রত্যাশী সৈয়দ শাকিলের কর্মী এবং সিফাত ও সোহান আরেক শীর্ষপদ প্রত্যাশী জামালের কর্মী।

এরমধ্যে আল সাদিক হৃদয়ের বিরুদ্ধে ইভটিজিং-এর প্রতিবাদ করায় সাংবাদিককে হামলার চেষ্টা, একাধিক ছাত্রীকে উৎতক্ত ও শ্লীলতাহানি, চাঁদাবাজি, বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়িচালককে মারধর, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীকে চাপাতি দিয়ে কোপানো, ছাত্রদল কর্মীদের উপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।

এবিষয়ে ছাত্রলীগের শীর্ষ পদপ্রত্যাশী সৈয়দ শাকিলের সাথে যোগাযোগ করা হলে আল সাদিক হৃদয় তার কর্মী স্বীকার করে নেন। তিনি বলেন, হৃদয় আমার সাথে রাজনীতি করে। তবে আমিতো আমার কোনো কর্মীকে বলবো না পুলিশের সাথে যেয়ে মারামারি কর। এর আগেও আমাকে সাংবাদিকরা ফোন দিয়েছে তার বিষয়ে তখনও আমি বলছি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে।

এ বিষয়ে সূত্রাপুর থানার ওসি বলেন, এটি একটি নিয়মিত মামলা। ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, গতকাল রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষার্থী পূর্বের ঘটনার জের ধরে সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের কর্মীদের সাথে মারামারির অবস্থা সৃষ্টি হয় তখন ঘটনা সামলাতে পুলিশ গেলে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের উপর জগন্নাথের কতিপয় ছাত্ররা হামলা করে। এরপর আমরা তাদের কোর্টে প্রেরণ করি, কোর্টে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, আমি পুলিশকে বলেছি, এরা শিক্ষার্থী মানুষ মাঝে মধ্যে ভুলভ্রান্তি হয়ে যায় ছেড়ে দিন প্রয়োজনে আমরা একাডেমিক ভাবে ব্যবস্থা নিবো, উনারা তারপরও ছাড়ে নাই এমনকি আমি দুপুরেও কল দিয়ে ছেড়ে দেয়ার জন্য বলেছিলাম, তারা বলেছে তাদের উর্ধ্বতন চাপ আছে।

Development by: webnewsdesign.com