সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কথিত এপিএস ছাত্রলীগ নেতা মোজাম্মেল গ্রেফতার!

শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২০ | ৬:৫১ অপরাহ্ণ

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কথিত এপিএস ছাত্রলীগ নেতা মোজাম্মেল গ্রেফতার!
apps

নিজেকে ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের পিএস পরিচয় দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া মোজাম্মেল হক ইয়াসিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) তাকে রাজধানীর কামরাঙ্গীর চর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

এরপর তার নামে শেরে বাংলা নগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উচ্চমান সহকারী (প্রশাসন শাখা) এস এম আবুল কালাম। নেত্রকোনার মদন উপজেলার বনতিয়শ্রী গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে এই প্রতারক মোজাম্মেল হক ইয়াসিন।

জানা যায়, গত ১৭ নভেম্বর এলজিইডির প্রধান সহকারী প্রকৌশলী মাহবুব ইমাম মোরশেদের কাছে মাঈন উদ্দিন নামে এক ব্যক্তির অস্থায়ী কার্য-সহকারী পদে চাকরির তদবিরের জন্য যান মোজাম্মেল। সেখানে ‘সদয় বিবেচনা করিয়া অস্থায়ী কার্য-সহকারী পদে চাকরি দেওয়া জন্য জোর সুপারিশ করছি’ লিখে সাক্ষর ও সীল দেওয়া হয়েছিল সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের। তবে দু’টোই ছিল ভুয়া।

এদিকে সেতুমন্ত্রীর সাক্ষর ও সীল দেখ মাহবুব ইমাম মোরশেদ দ্রুতই ফরোয়ার্ড করে দিয়েছিলেন আবেদনপত্রটি। কিন্তু পরে আবারও নিজেকে সেতুমন্ত্রীর এপিএস পরিচয় দিয়ে ফোন করলে সন্দেহ জাগে তার মনে। সেতু মন্ত্রণালয়ে আলাপ করে জানতে পারেন মোজাম্মেল একজন প্রতারক।

এ বিষয়ে মাহবুব ইমাম মোরশেদ বলেন, মাসখানেক আগে মোজাম্মেল হক নিজেকে সেতুমন্ত্রীর এপিএস পরিচয় দিয়ে আমার কাছে এসেছিল মন্ত্রী মহোদয়ের একটি সুপারিশপত্র নিয়ে। পরে তার চাল চলনে সন্দেহ হলে আমি খোঁজ নিয়ে জানতে পারি সেতুমন্ত্রীর কোনো এপিএসই নেই।

গোয়েন্দা পুলিশ জানান, ছাত্রলীগের ঢাকা কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এই মোজাম্মেল হক। এরপরে সোহাগ-জাকিরের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সদস্য হন। সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সাথে ছবি তুলে তা ফেসবুকে আপলোড করে নিজেকে ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসাবে পরিচয় দিতে শুরু করেন। একইসাথে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা ও প্রশাসনের লোকদের সাথে ছবি তুলে তা ফেসবুকে আপলোড করতেন তিনি।

এইসব ছবি ব্যবহার করে বিভিন্ন জায়গায় তদবিরের মাধ্যমে কাজ হাসিল করতেন। প্রতারণা বাণিজ্য করে গড়ে তুলেছেন একটি টিকাধারী প্রতিষ্ঠানও।

ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের কোতায়ালি জোনের এডিসি সাইফুর রহমান আজাদ জানান, এলজিইডি অধিদপ্তর থেকে পাওয়া একটি অভিযোগের ভিত্তিতে মোজাম্মেল হককে গ্রেফতার করি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সেতুমন্ত্রীর সীল ও সই জালিয়াতি করার কথা স্বীকার করেছে সে।

এ বিষয়ে সেতু মন্ত্রীর একান্ত সচিব গৌতম চন্দ্র পাল জানান, মোজাম্মেল হক ইয়াছিন নামে স্যারের (সেতুমন্ত্রী) কোনো এপিএস নেই। তিনি স্যারের সই ও সীল জালিয়াতি করেছেন বলে শুনেছি। সে অপরাধ করে থাকলে আইন অনুযায়ী তার বিচার হোক।

Development by: webnewsdesign.com