সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। রবিবার (২০ ডিসেম্বর) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, সীমান্তে হত্যার প্রতিবাদে সোমবার (২১ ডিসম্বের) সারা দেশের জেলা ও মহানগরে দলীয় কার্যালয়গুলোতে কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে। এছাড়া নেতাকর্মীরা কালো ব্যাজ ধারণ ও কালো পোশাক পরবে বলে জানান তিনি।
কর্মসূচি যথাযথভাবে পালনের জন্য বিএনপি ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীকে অনুরোধ জানিয়েছেন রিজভী। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়ন সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে জাহিদুল ইসলাম নামে এক বাংলাদেশি নিহত হন। পর দিন বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন বলেন– ‘সীমান্ত হত্যায় ভারত একতরফাভাবে দায়ী নয়। আমাদের কিছু দুষ্টু ব্যবসায়ী অবৈধভাবে সীমান্তের ওপারে যায় এবং তাদের কাছে অস্ত্র থাকে। তখন ভারত বাধ্য হয়ে ভয়ে ওদের গুলি করে।’
এর আগে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছিলেন– ‘ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। কাঁটাতারের বেড়া কেটে গরু আনতে গিয়ে ইন্ডিয়ার গুলি খেয়ে মারা যায়, তার জন্য দায়দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকার নেবে না।’ এরই পরিপ্রেক্ষিতে কর্মসূচি ঘোষণা করল বিএনপি। এ ছাড়া সীমান্তে হত্যা নিয়ে এ দুই মন্ত্রীর বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছে বিএনপি।
রিজভী বলেন, সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে অন্য কোনো মৃত্যুর তুলনা চলে না। ভিনদেশের কেউ সীমান্তে আমাদের দেশের নাগরিককে হত্যা করার সাহস কিংবা ঔদ্ধত্য দেখালে সেটি কোনো সাধারণ হত্যাকাণ্ড নয়। এ ধরনের হত্যাকাণ্ড শুধু লাশের সংখ্যা দিয়ে বিবেচ্য নয়। এর সঙ্গে দেশের মান মর্যাদা, সম্মান ও সম্ভ্রমবোধ জড়িত।
আইন ও শালিস কেন্দ্রের তথ্যের বরাতে রিজভী জানান, এ সরকারের গত ১২ বছরে প্রায় সাড়ে পাঁচশ বাংলাদেশিকে সীমান্তে হত্যা করেছে বিএসএফ। এই করোনার মধ্যেও গত প্রায় এক বছরে প্রতিবেশী দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে খুন হয়েছে ৪৫ বাংলাদেশি। এ ছাড়া সীমান্তের নোম্যান্সল্যান্ড ও নদীতে প্রায়ই বাংলাদেশিদের রহস্যজনক লাশ পাওয়ার ঘটনা খবরে আসছে।
Development by: webnewsdesign.com