মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার প্রশ্নে কোনো আপস নয় জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশে একদিকে সাম্প্রদায়িকতা, আরেকদিকে অসাম্প্রদায়িকতার দুটি ধারা চলছে। একদিকে ৪৭-এর চেতনা, অন্যদিকে ৭১-এর চেতনা। বিজয়ের এই দিনে আমাদের শপথ হবে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি যে বিষবৃক্ষ, ডালপালা বিস্তার করেছে; সেই বিষবৃক্ষকে সমূলে উৎপাটন করে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে রুখে দেয়ার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ করা।
বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে দলের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। হেফাজতসহ ধর্মীয় সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুও পাকিস্তানিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, তারা কী চেয়েছিল (সে বিষয়ে)। তাদের (ধর্মীয় সংগঠনের নেতা) সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে, কারণ আমরা জানতে চাই তারা কি চান।
আমাদের যে শপথ, আমাদের যে আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ, স্বাধীনতার আদর্শ-এই প্রশ্নে আমরা কোনো আপস করব না। সেটাও আমরা তাদের জানিয়ে দিতে পারি।’ এর আগে জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। সকাল ৬টা ৩৪ মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানান তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম শামীম উজ জামান। এরপর প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শ্রদ্ধা জানান তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল আহমদ চৌধুরী। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শহীদদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর জাতীয় সংসদের স্পিকারের পক্ষ থেকে এবং তিন বাহিনীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এর পরপরই জনসাধারণের জন্য স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। তবে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে এবার স্মৃতিসৌধের পরিস্থিতি ছিল ভিন্ন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে আগেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আসা লোকজনকে ছোট ছোট দলে ভাগ করে ভেতরে ঢোকানো হচ্ছে। ভেতরে ঢোকার পর বেশিক্ষণ অবস্থান করতে দেয়া হচ্ছে না।
Development by: webnewsdesign.com