জয়পুরহাটে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিকী সম্মেলন আগামীকাল। দীর্ঘ ৬ বছর পর জয়পুরহাট স্টেডিয়ামে নতুন কমিটি গঠনের জন্য শহরে ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ নানাভাবে নেতাকর্মীদের সাথে চলছে আলাপচারিতা ও যোগাযোগ।
এ সম্মেলনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীরা কাউন্সিলর ও নেতাকর্মীদের সাথে নিবীড় সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন। নতুন প্রার্থীরা সাংগঠনিকভাবে দলকে শক্তিশালী করার নানা প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছেন। তবে কাউন্সিলরা সরাসরি ভোট দিয়ে নেতা নির্বাচন করতে পারবেন কি-না এ বিষয়ে স্পষ্ট হতে পারছে না তারা। কারন, কেন্দ্র থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা সম্মেলনে ঘোষণা দিতে পারেন।
সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৯ নভেম্বর জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সভাপতি এ্যাড. সামছুল আলম দুদু এমপি ও সাধারণ সম্পাদক হিসাবে এস.এম সোলায়মান আলী নির্বাচিত হন। এদিকে আসছে কাউন্সিলকে ঘিরে পদ-পদবী নেওয়ার জন্য সাম্ভব্য সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীদের নিকট ব্যাপক দৌড়-ঝাঁপ শুরু করেছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
স্থানীয় আ’লীগ সূত্রে জানা যায়, এ সম্মেলনে ১৯৬ জন কাউন্সিলর। সম্মেলনে প্রধান অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ভার্চুয়াল বক্তব্য দেবেন এবং কেন্দ্র থেকেই জেলা আ’লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করে ঘোষণা দিবেন অথবা সিদ্ধান্ত নিয়ে আসতে পারেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
এ সম্মেলনে উদ্ভোধক বাংলাদেশ আ’লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান, প্রধান বক্তা যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ, বিশেষ অতিথি সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন হুইপ, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, নির্বাহী কমিটির সদস্য প্রফেসর মেরিনা জাহান কবিতা। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন জেলা আ’লীগের সভাপতি এ্যাড. সামছুল আলম দুদু এমপি।
এ সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে সভাপতি পদে আলোচনায় আছেন জেলা আ’লীগের বর্তমান কমিটির সভাপতি এ্যাড. সামছুল আলম দুদু এমপি, সাধারন সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস.এম সোলায়মান আলী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য আরিফুর রহমান রকেট, সহ-সভাপতি গোলাম হাক্কানী, অধ্যক্ষ খাজা শামছুল ইসলাম, এ্যাড. নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল পিপি, এ্যাড. মোমেন আহমেদ চৌধুরী জিপি। এদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনায় আছেন জেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, সদস্য ও পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, পাঁচবিবি উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান হাবিব ও আক্কেলপুর উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক ও পৌর মেয়র গোলাম মাহফুজ চৌধুরী অবসর। এছাড়াও আলোচনায় আছেন জেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখর মজুমদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুল আলম বেনু, জেলা পরিষদ সদস্য ও দপ্তর সম্পাদক মিজানুর রহমান টিটো, সদস্য নন্দলাল পার্শী, সদর উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম।
তবে স্থানীয় নেতাকর্মীদের চাওয়া দুঃসময়ের স্বৈরাচার, স্বাধীনতা বিরোধী, জেল-জুলুম, নির্যাতিত, লাঞ্চিত হওয়া নতুন-পুরাতন নেতাদের রেখেই জেলা আ’লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হোক। এখন সবার দৃষ্টি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে। নতুন কোনো চমক আসবে, নাকি পুরাতন নেতাদের দিয়েই আগামী দিনের নতুন চ্যালেঞ্জ নিবে জেলা আ’লীগ। নেতাকর্মীদের মাঝে এখন হাজারো প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে।
এ ব্যাপারে জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এস.এম সোলায়মান আলী বলেন, ‘জেলা আ’লীগের সম্মেলনের সকল প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হয়েছে। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে যে পদে রাখবেন, তা মেনে নিয়ে আগামী দিনে দল করে যাবো।
জেলা আ’লীগের সভাপতি এ্যাড. সামছুল আলম দুদু এমপি বলেন, ‘আমি সভাপতি আছি। এ সম্মেলনে আবারও যদি সভাপতি নির্বাচিত হই তাহলে যেভাবে বিগত সময়ে নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে কাজ করেছি, সেইভাবে দলের কাজ করবো। আর যদি অন্য কাউকে সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয় তাকে মেনে নিয়েই দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম করে যাবো।
Development by: webnewsdesign.com