বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির মৌসুমে ভর্তিযুদ্ধে অবতীর্ণ লাখো শিক্ষার্থীর হয়রানির প্রসঙ্গ প্রতি বছর কমন আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সমস্যাটা এমন হয়ে দাঁড়ায় যে একজন শিক্ষার্থী যেকোন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র একটি বিষয়ে ভর্তি হয়। অথচ তাকে অনিশ্চয়তা মাথায় নিয়ে দেশময় ঘুরে বেড়াতে হয় এক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরেক বিশ্ববিদ্যালয়।
এতে অর্থ ও সময় যেমন অপচয় হয় অনিশ্চয়তা থাকে তার চেয়েও বেশি। বর্তমান পরিস্থিতিকে সামনে রেখে চলতি বছর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে গুচ্ছ পদ্ধতি প্রবর্তনে সরকার অনড় অবস্থান নিয়েছে। গুচ্ছ পদ্ধতিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, কৃষি, প্রকৌশল ও সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় চারটি ধাপে ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করা হবে এ কথা জানান ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ।
এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে পুরান ঢাকার প্রাণকেন্দ্র জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য মহোদয় ড. মিজানুর রহমান। দেশের ১৯ টি সাধারন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েও ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। কৃষিভিত্তিক ৭টি বিশ্ববিদ্যালয় গত বছর গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিয়েছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কথা চিন্তা করে সরাসরি ও সহজ উপায়ে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার মাধ্যম হলো গুচ্ছ পদ্ধতি।
গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার সবচেয়ে ভাল দিক হলো এতে কোন শিক্ষার্থী হয়রানির শিকার হবে না। প্রশ্নপত্র ফাঁস ও ভর্তি জলিয়াতি বন্ধে গুচ্ছ পদ্ধতি কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে অর্থাৎ সার্বিক বিবেচনায় এ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি ইতিবাচক। তাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তকে সময়োপযোগী বলে আমি মনে করি।
মারিয়া অনি
বাংলা বিভাগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
Development by: webnewsdesign.com