বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, ট্র্যাডিশনাল পড়াশোনার বাইরের জগতের দিকে তাকাতে হবে এবং যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ল্যাঙ্গুয়েজ স্কিল এবং টেকনিক্যাল স্কিল বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিতে হবে। নইলে আমাদের স্নাতকরা চাকরি পাবে না এবং হতাশ হবে। এ ব্যপারে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
তিনি বলেন, শিক্ষার গুণগত মানকে আমাদের সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। অবকাঠামোগত উন্নয়ন বাড়ছে, কিন্তু শিক্ষার গুণগত মান বাড়াতে পারছিনা, এটা আমাদের জন্য উদ্বেগের বিষয়। আমরা চাই, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাধা-বিঘ্নহীনভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এসময় তিনি কারিকুলাম এবং এডুকেশন সিস্টেম আধুনিকায়নের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
৪২তম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে রবিবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আয়োজিত ওয়েবনিয়ারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে ওয়েবনিয়ারের সভাপতি ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ প্রকৃতি এবং জ্ঞানচর্চা যেন হাত ধরাধরি করে চলছে। ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’, ‘শাশ্বত মুজিব’, ‘মুক্তির আহবান’, ‘মুক্তবাংলা ইত্যাদি স্থাপনাগুলো এ বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকশিত করছে।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে আমরা অঙ্গিকার করি যে, আমরা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বমানের করে গড়ে তুলবো। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলার স্বপ্ন পূরণের পথে সমবেতভাবে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন ভিসি।
ওয়েবনিয়ারে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. শাহিনুর রহমান, অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফ। এছাড়া স্বাগত বক্তব্য রাখেন ৪২তম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. আহসান-উল-আম্বিয়া। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি ড. মোস্তাফিজুর রহমাআনের (মিঠুন মুস্তাফিজ)।
এছাড়া সহায়ক কর্মচারী সমিতির সভাপতি আব্রাহাম লিংকন, সহায়ক টেকনিক্যাল কর্মচারী সমিতির সভাপতি মোফাজ্জেল হোসেন লাল, সাধারণ কর্মচারী সমিতির সভাপতি আতিয়ার রহমানও ওয়েবনিয়ারে বক্তব্য রাখেন।
Development by: webnewsdesign.com