সংসারে অভাব অনটন। তাই কাজের প্রলোভনে দালালের মাধ্যমে অবৈধ পথে স্বামীর সাথে ভারতে যায় প্রিয়া তার ও মেয়ে। কিন্তু দেশে ফেরার সময় বর্ডার থেকে গ্রেফতার হয় বাংলাদেশী নাগরিক প্রিয়া দাস(২০) ও তার ২ বছরের কন্যা তনুশ্রী। অবৈধ অনুপ্রবেশে ৩মাসের জেল হয় তাদের। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও জটিলতায় দেশে ফিরতে পারেনি তারা। এতে করে তাদের ফেরা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এমনকি পরিবারের স্বজনরা প্রতিটা সময় দুশ্চিন্তায় পার করছে। গ্রেফতার হওয়া ঐ নারী ভারতে যেয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বর্তমানে সে ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
বাংলাদেশী ঐ নাগরিকের বাবা সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটার মধুসুধন দাস জানান, তার মেয়েকে সাতক্ষীরা জেলার পাটকেলঘাটার সরুলিয়া এলাকার রিপন দাসের সাথে বিয়ে দেয়। স্বামীর সংসারে অভাব অনটন থাকায় ভালো কাজের প্রলোভন দেখানো দালালের ফাঁদে পা দেয় তারা। তাই সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেয় ভারতে যেয়ে কাজ করে সংসারে স্বচ্ছলতা ফেরাবেন। সে কারনে কাজের সন্ধানে স্ব-পরিবারের অবৈধ পথে চলে যান প্রতিবেশী দেশ ভারতে।
সেখানে থেকে চলতি ইংরেজি বছরের ১১ জুলাই বাংলাদেশে ফেরার পথে ভারতের স্থল বন্দর ঘোজাডাঙ্গা এলাকা থেকে দুপুর ৩ টার দিকে আটক হয়। এরপর বশিরহাট থানার অবর পরিদর্শক গোপাল সরকার তাদের কাছে কাগজপত্র দেখতে চান। দালালের মাধ্যমে কাগজপত্র ছাড়াই বর্ডার পার হয়ে ভারতে এসে বলে জানান প্রিয়া। এসময় তাদের সাথে ভারতীয় এক নারী দালাল আটক হয় বলে বশিরহাট থানায় মামলার বিবারণে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এরপর তাদের বিরুদ্ধে জিআর-২৮৪০/২০ মামলায় ৩মাসের জেল প্রদান করে ভারতের এ.সি.জে.এম কোর্ট। চলতি বছরের ২১ সেপ্টেম্বর তাদের সাজার মেয়াদ শেষ হলেও তারা ভারতের দমদম জেল হাজতে রয়েছেন।
দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেলও দেশে ফিরতে পারেনি ৭মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারী প্রিয়া ও শিশু তনুশ্রী। বর্তমানে প্রিয়া ও তার মেয়ের দেশে ফেরা নিয়ে অনিশ্চিতা দেখা দেওয়ায় স্বজনরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। সেজন্য ভারতের নিযুক্ত বাংলাদেশী হাইকমিশনার ও বাংলাদেশী নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার সহযোগীতা কামান করেছেন পরিবারটি।
Development by: webnewsdesign.com