আওয়ামী লীগ প্রার্থী হাবিব হাসানকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেছেন, যতই সন্ত্রাস করেন ভোটাররা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা ভোটকেন্দ্রে যাবেন। আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে চ্যালেঞ্জ করছি– এই আসনে সাহস করে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করুন। একবার হলেও আপনাদের জনপ্রিয়তা যাচাই করুন।
বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) গণসংযোগ শেষে উত্তরা-১০ নম্বর সেক্টরের স্লুইসগেট এলাকায় শহীদ মনসুর আলী কলেজ ও হাসপাতালের সামনে সংক্ষিপ্ত পথসভায় বক্তব্যকালে এ চ্যালেঞ্জ দিন তিনি।
প্রচারের ১৪তম দিনে দলের উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মেয়রপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করা তাবিথ আউয়ালকে সঙ্গে নিয়ে গণসংযোগ করেন এসএম জাহাঙ্গীর।
বেলা ১১টা থেকে উত্তরার ১০ নম্বর সেক্টরের ১০, ১১, ১২ সড়কসহ ওয়েস্টার্ন ল্যাবরেটরি, কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, টাচস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ এলাকায় গণসংযোগ করেন।
এ সময় জাহাঙ্গীরের সঙ্গে ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাজীব আহসান, স্বেচ্ছাসেবক দলের ফখরুল ইসলাম রবিন প্রমুখ।
গণসংযোগে ‘জিয়া তুমি আছো মিশে, সারা দেশের ধানের শীষে’ ‘খালেদা জিয়ার সালাম নিন, ধানের শীষে ভোট দিন’ ইত্যাদি স্লোগানে পুরো এলাকা মুখরিত করেন নেতাকর্মীরা।
জাহাঙ্গীর বলেন, আগামী ১২ নভেম্বর ঢাকা-১৮ আসনের ভোট। আপনারা সারা দেশে এই সরকারের আমলে অনেক নির্বাচন দেখেছেন। এই সরকারের জনগণের কোনো আস্থা নেই, বিশ্বাস নেই। যার কারণে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ৩০ ডিসেম্বরের ভোট ২৯ ডিসেম্বর রাতে করেছে। জনগণকে তারা ভোটকেন্দ্রে আসতে দেয় না।
‘আগামী ১২ নভেম্বর জনগণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা ভোটকেন্দ্রে যাবেন। আওয়ামী লীগকে বলব– আপনারা যতই সন্ত্রাস করুন ১২ নভেম্বর জনগণ ভোটকেন্দ্রে যাবেন এবং ধানের শীষে ভোট দেবেন।’
ধানের শীষের এই প্রার্থী বলেন, আমরা যেখানেই গণসংযোগে নামি, সেখানেই হাজার হাজার জনতা আমাদের সঙ্গে নেমে আসেন। এটি কীসের আলামত? এ সরকারকে যে মানুষ চায় না, তারই আলামত। জনগণের একটিই উক্তি– ‘এক দফা এক দাবি, শেখ হাসিনা কবে যাবি’।
পুলিশ প্রশাসনের উদ্দেশ্যে জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমরা আশা করি, ভোটের মাঠে সবাইকে সমান সুযোগ দেবেন। আমাদের নেতাকর্মীদের বিনাকারণে ডিস্টার্ব করবেন না। এই আসনের আমাদের কোনো নেতাকর্মীর নামে ওয়ারেন্ট নেই। অপনারা যখন-তখন যার বাসায় হানা দেবেন, মামলা করবেন তা হবে না।
তিনি বলেন, আমরা যেখানে কর্মসূচি দিই আওয়ামী লীগ সেখানেই পাল্টা কর্মসূচি দেয়। তারা গায়ে পড়ে ঝগড়া করতে চায়। আমাদের দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও দেশনায়েক তারেক রহমানের নির্দেশ কোনো রকম ঝামেলায় জড়ানো যাবে না। তার মানে ধৈর্য ধরছি, আমরা দুর্বল না।
গতকাল বুধবার বিকালে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করা প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীর বলেন, আমরা বৈঠকে বলে এসেছি, আপনারা যদি আমাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হন, আমরা যদি আমাদের ভোটাদের কাছে যেতে না পারি, তা হলে কিন্তু ঢাকা-১৮ আসনের নেতাকর্মী ও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন কমিশনে গিয়ে বসে থাকব। আপনারা বলেছেন, এবার ৩০ তারিখের ভোট ২৯ তারিখ হবে না– এটি আমরা বিশ্বাস করতে চাই। ‘বিদায় বেলায়’ একটা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারেন তার প্রমাণ দিয়ে যান।
Development by: webnewsdesign.com