চীনের শ্যানডং প্রদেশের কিংদাও শহরে নতুন করে আবার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। চীনের মধ্য শরৎ উৎসবের কিছুদিন পরেই সংক্রমণ দেখা দিয়েছে এবং তা বিস্তর আকারে ছড়াতে শুরু করেছে। তবে উহান শহরের মত এবারো বিষয়টি গোপন রাখার চেষ্টা করছে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ।
ছুটির সময়গুলোতে কিংদাওতে ৪৪ লাখের বেশি মানুষ বেড়াতে আসে। কিংদাও শহরে করোনা সংক্রমণের খবর জানাজানির পর পুরো শহরে প্রায় সবার করোনা টেস্ট করা হয়েছে। পাঁচদিনে ৯০ লাখেরও বেশি মানুষের করোনা টেস্ট করা হয়েছে। করোনা সংক্রমণ রোধে অক্টোবর মাসের ১২ তারিখ পর্যন্ত হাসপাতালগুলোতে অন্যান্য সেবা বন্ধ রাখা হয়। ইয়ান্তাই সেন্টর ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী,সেপ্টেম্বরের ২৩ তারিখ থেকে এ যাবত যারা কিংদাও ঘুরে এসেছে তাদের সবার টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে সেই সাথে তারা যাদের সাথে বসবাস করে তাদেরকেও টেস্ট করতে বলা হয়েছে। সেই সাথে প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হতেও নিষেধ করা হয়েছে।
এছাড়া লিয়াওনিং প্রদেশের ডালিয়ান শহরে যারা কিংদাও থেকে ফেরত এসেছে সবাইকে টেস্টের কথা বলা হয়েছে। এত কিছুর পরেও এসব তথ্য গোপন রেখেছে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি। সারা বিশ্বের ধারণা কিংদাও শহরে করোনা সংক্রমণ হয়েছে অক্টোবরের আগেই।
কিংদাওতে করোনা সংক্রমণের পর শ্যানডং প্রদেশের হেজে শহর,ডালিয়ান শহর, লিয়াওনিং এর ড্যানডং শহর ,বাইচেন,হুয়াডিয়ান,জিলিন প্রদেশের গংঝুলিং শহর, জিয়াংজি প্রদেশের গানজৌ শহর সহ আরো বেশ কিছু শহরের নাগরিকদের একান্ত প্রয়োজন ছাড়া কিংদাও না যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু অক্টোবরের ছুটির আগেই কিছু স্থানীয় হাসপাতালের বরাত দিয়ে কিংদাও ভ্রমণ না করার বিষয়ে বলা হয়। এরই মধ্যে শাংহাইয়ের চাংহাই হাসপাতাল সেপ্টেম্বরের ২৯ তারিখ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানিয়েছে অক্টোবরে কিংদাও ভ্রমণ না করতে।
তবে এত সতর্কতা সত্ত্বেও করোনা সংক্রমণ কমানোর তেমন কোন উদ্যোগ শহরটিতে দেখা যায়নি। এ নিয়ে আবারো দায়িত্বহীনের পরিচয় দিয়েছে চীন। তবে কিংদাও এর এপিডেমিক প্রিভেন্টেশন এন্ড কন্ট্রোল এক্সপার্ট টিমের প্রধান ও উপ পরিচালক দাবি করছেন, করোনার উৎস পরিষ্কার, সংক্রমণের ঝুঁকি কম আর যে প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা কার্যকর।
সেপ্টেম্বরের ২৯ তারিখ কিংদাও শহর তৎকালীন সময় নিরাপদ কিনা এ প্রশ্ন করা হলে শ্যানডং প্রদেশের সরকারী কর্মকর্তা জানায়, কিংদাও এখনো কম ঝুঁকির এলাকা এবং ছুটি কাটাতে মানুষ যেতে পারবে। এর পরেই ৪৪ লাখ ৭৫ হাজার ৮০০ পর্যটক কিংদাও পৌঁছায় তাদের মধ্য শরৎ উৎসব কাটাতে।
স্থানীয় কতৃপক্ষ করোনা সংক্রমণে পুরো বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার কারণে যারা ছুটি কাটাতে কিংদাও গিয়েছিল তাদের মাধ্যমে আবার নতুন করে চীনে সংক্রমণ ছড়াবে আর এতে করে নতুন করে করোনা পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে উঠবে।
Development by: webnewsdesign.com