শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্যে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) তিন শিক্ষককে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ইবি কর্তৃপক্ষ সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর ড. মো. মাহবুবর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক রুহুল আমীন ও সহকারী অধ্যাপক এস এম আব্দুর রহিমকে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তাদের বক্তব্য প্রদানের জন্য বলা হয়েছে। দুদকের উপপরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা মো. আব্দুল মাজেদ স্বাক্ষরিত প্রেরিত চিঠিতে এ তথ্য জানা গেছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর ড. মো. মাহবুবর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক রুহুল আমীন ও সহকারী অধ্যাপক এস এম আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্যে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে বক্তব্য গ্রহণ ও শ্রবণ করা একান্ত প্রয়োজন। অভিযোগ বিষয়ে অনুসন্ধানপূর্বক অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিলের জন্য মো. আব্দুল মাজেদকে অনুসন্ধানী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় দুদকের প্রধান কার্যালয় ১, সেগুনবাগিচা ঢাকায় উপস্থিত হয়ে বক্তব্য প্রদানপূর্বক অনুসন্ধান কাজে সহযোগিতার অনুরোধ করা হলো। চিটিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম আব্দুল লতিফ জানান, এমন একটি চিঠি দপ্তরে এসেছে। যে সকল শিক্ষককে হাজির হতে বলা হয়েছে ইতিমধ্যে আমরা তাদের বরারবর চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছি।
তবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর ড. মো. মাহবুবর রহমানের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি জানতাম অবশ্যই আপনাদের জানাতাম।
সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি কুষ্টিয়া ইবির শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্য নিয়ে সাবেক প্রক্টর ড. মো. মাহবুবর রহমানসহ কয়েকজন শিক্ষকের জড়িত থাকার অভিযোগে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের নের্তৃবৃন্দ শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্যে জড়িত থাকায় সাবেক প্রক্টর মাহবুবর রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ পাঠান।
ইবি কর্মকতা সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও কর্মকর্তা ফেডারেশনের মহাসচিব মীর মোহম্মদ মোর্শেদুর রহমান জানান, আপনাদের সবই জানা। শুধু এটুকু বলতে চাই, দুর্নীতিবাজ যেই হোক না কোন দেশের প্রচলিত আইনে তার বিচার হওয়া উচিত।এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. শাহীনুর রহমান এর সাথে যোগযোগ করার চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।
Development by: webnewsdesign.com