ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার ঘটনার ৯ দিন পর ঘোড়াঘাট থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি)আমিরুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দিনাজপুর জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) আনোয়ার হোসেন।
আমিরুল ইসলামকে রংপুর ডিআইজি রেঞ্জে নেয়া হয়েছে এবং নাজিমুদ্দিন নামের নতুন ওসি ঘোড়াঘাট থানায় যোগদান করেছেন।
গত ৩ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে ৩টার দিকে সরকারি বাসভবনে ঢুকে ঘোড়াঘাটের ইউএনও ওয়াহিদা ও তার বাবার ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। তাদেরকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে দুষ্কৃতকারীরা।
গুরুতর অবস্থায় তাদের প্রথমে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে রংপুর কমিউনিটি হাসপাতালের আইসিইউতে নিয়ে আসা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ওয়াহিদা খানমকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স করে রংপুর থেকে ঢাকার আনা হয়। তিনি এখন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালে চিকিৎসাধীন।
এছাড়া তার বাবা ওমর আলী রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনার পর ৩ সেপ্টেম্বর রাতে ঘোড়াঘাট থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওয়াহিদার ভাই শেখ ফরিদ উদ্দিন। পরে হিলির সীমান্তবর্তী কালিগঞ্জ এলাকা থেকে প্রধান অভিযুক্ত যুবলীগ কর্মী আসাদুল হককে আটক করা হয়।
তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরও বেশ কয়েকজনকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করে র্যাব। কয়েকঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আটক আসাদুল হক, নবীরুল ইসলাম ও সান্টু কুমার ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। পরে তাদের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
Development by: webnewsdesign.com