অনেক তরুণ বয়সীরা কাজের জায়গায় তরতর করে উপরে উঠে যাচ্ছেন। এমনকী দীর্ঘদিন ধরে চাকরিতে থাকা স্টাফদেরও বস হয়ে উঠছেন তাদের মাঝ বয়সীরা। এমন অভিজ্ঞতা ইদানিং হরদমই হচ্ছে অনেকের।
এই তারতম্য কীভাবে সামাল দিচ্ছে ভিন্ন দুই প্রজন্ম? বুঝতে ইংল্যান্ডের দক্ষিণে একটি কোম্পানিতে গিয়েছিলেন বিবিসির সংবাদদাতা।
সেখানে একটি কোম্পানির অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্বরত চার্লি রোজের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমার বস আমার ছোট ছেলের চেয়েও বয়সে ছোট। সে বয়সে তরুণ, অনেক উৎসাহী কিন্তু পরিপক্ক। তার দক্ষতা রয়েছে আমার নেই। এই বাস্তবতা মেনে নেয়া সত্যিই শেখার মতো একটা বিষয়। বয়স নিয়ে দুই প্রজন্মই ভুগতে পারে। একজন যেমন ভাবতে পারে অন্যজন বয়সে নেহাতই কাঁচা। তেমনি অন্যজনও ভাবতে পারে আরেকজনের বয়স বড্ড বেশি।’
এ বিষয়ে চার্লির বস থিও মেডেলটন বলেন, ‘কমবয়সী হলেও আমি যে সিনিয়র পদে তা নিয়ে আমাকে সচেতন থাকতে হয়। সবসময় সবজান্তা ভাব নিয়ে থাকা উচিত নয়। আমি আগে কখনো এমন পরিস্থিতি নিয়ে ভাবিনি। চার্লিরও অনেক বিষয়ে অভিজ্ঞতা রয়েছে, প্রতিদিনই তার কাছ থেকে নানা জিনিস শিখছি আমি। বিশেষ করে চ্যারিটি খাত নিয়ে তার অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে।’
জানা যায়, চার্লির বস থিওয়ের বয়স সবে ২০। মাত্র কদিন আগেও তিনি শিক্ষাণবিশ ছিলেন। বর্তমানে ব্রিটেনের বোর্নমাথে ওই মার্কেটিং ফার্মে মিটিংয়ে সভাপতিত্ব করেন থিও। ক্লায়েন্টরা তার সাথেই প্রথম যোগাযোগ করে।
থিওর অন্যান্য কাজের মধ্যে একটি হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়াতে চার্লির দক্ষতা বাড়ানো।
কাজের ব্যাপারে থিও এবং চার্লির মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। তারা দু’জনের মনে করেন কর্মস্থলে বয়সের ফারাক নিয়ে জটিলতা কাটাতে প্রয়োজন পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং একে অন্যের কাছ থেকে শেখার মানসিকতা।
বিশেষজ্ঞরা জানান, বর্তমানে অনেক কোম্পানিই অল্পবয়সীদের নিয়োগ করছে। কাজের দক্ষতা দেখিয়ে ছোটটা বড় বড় পোস্ট পেয়ে যাচ্ছে। আর এতে করে ভিন্নধর্মী অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে কাজ করা লোকেরা। তাদের পিছিয়া পড়ার কারণ হিসেবে প্রযুক্তিকেই দায়ী করা হচ্ছে।
Development by: webnewsdesign.com