শব্দদুষণ : মুরাদের কিছু এক্সটা ভাবনা

মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | ১০:২১ অপরাহ্ণ

শব্দদুষণ : মুরাদের কিছু এক্সটা ভাবনা
apps

মসজিদ একটি ইবাদতখানা, মসজিদের পাশে শামিয়ানা টাঙিয়ে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরী করে আয়োজন করা হয় ওয়াজ মাহফিলের, গাড়িতে আওয়াজ বুলন্দী যন্ত্র লাগিয়ে হাটে বাজারে রাস্তায় মানুষের কান ঝালাপালা করে করা হয় তার প্রচারণা, লক্ষাধিক অর্থ খরচ করে আনা হয় অভিনেতা কিংবা কৌতুকঅভিনেতা মিহি কন্ঠের বক্তা, শুরু হয় (আ)ওয়াজ, সাথে আছে লাইট- ক্যামেরা- এ্যকশন!!!
ধারাবাহিকভাবে চলে অভিনয়, গান গজল, হঠাৎ কুরআন তেলাওয়াত ও দেওয়া হয়, মুগ্ধ হয় তাল মাতাল দর্শকশ্রোতা, বিরক্ত হয় আম পাবলিক, অন্য ধর্মাবলম্বীরা, তাতে কার কী? এ দেশ মুসলমানের দেশ, ৯০% ভাগ মুসলমানের দেশ, আমাদের দেশে আমরা যা ইচ্ছা তাই করবো, এটাই ইসলাম! বাধা দিলে দেশদ্রোহী, ধর্মদ্রোহী, নাস্তিক ট্যাগও লাগতে পারে।

 

 


মন্দির একটা উপাসনালয়, মন্দিরের পাশেও প্যান্ডেল বেধে জনসমাগমেরর আয়োজন করা হয়, নাম দেওয়া হয় মহাযজ্ঞ, সংকীর্তন, আরাধনা।
প্রসাদের ব্যবস্থা ও থাকে, মনোজ্ঞ সংস্কৃতি নামে থাকে নাচ ও গান, ভাড়া করে কীর্তনীদের আনা হয়, হয় প্রচারণাও।
দিনরাত ভরে একাধারে তিনদিন চলে মহাযজ্ঞ, মাইক সাথে মিউজিক সাউন্ড দেওয়া হয়, বিরক্তিকর অবস্থা সৃষ্টি করা হয়, তাতে কার কী? এটা সনাতনী ধর্ম, হিন্দুরাও এদেশের জনগণ, তাদেরও আছে নাগরিক অধিকার! দেশটা তো একা মুসলমানদের নয়। আপত্তি করার তুমি কে? সরকারের অনুমোদন আছে।
চলছে শব্দদূষণ, বায়ুদূষণ, পরিবেশদূষণ।
চলবে…..
বিরক্তি হতে হতে কিছু লোক ঝুকে পড়বে খৃষ্ট ধর্মে কিংবা নাস্তিক্যবাদে। তাতেও কারো কিছু আসে যায়না, চলিতেছে সার্কাস…..

লেখক : নুরুজ্জামান মুরাদ – লেখক ও গবেষক

Development by: webnewsdesign.com