বাংলাদেশ জাতীয় টেস্ট দলের ১১তম অধিনায়ক মুমিনুল হক। নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান নিষিদ্ধ হওয়ার পর ভারত সিরিজের আগে তাকে তড়িঘড়ি করে অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
মুমিসুলের অধিনায়কত্ব শুরু হয়েছে টানা তিন ম্যাচে ইনিংস ব্যবধানে হার দিয়ে। অবশেষে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চতুর্থ ম্যাচে এসে জয়ের দেখা পেয়েছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয়ের পর মুমিনুলকে অধিনায়কত্ব নিয়ে বেশ কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে। আমাদের সময়’র পাঠকদের জন্য হুবুহু তুলে ধরা হলো।
প্রশ্ন : মাঠের অধিনায়কত্ব কেমন উপভোগ করছেন?
মুমিনুল : আমার ক্যাপ্টেন্সি শুরু হয়েছিল বিসিএল, এনসিএল দিয়ে। ওই জায়গায় প্রথম প্রথম এরকমই (সহজ, সরল) ছিলাম। পরে দেখলাম যে, না জিনিসটা পরিবর্তন করতে হবে। যারা মাঠে থাকে তারা জানে। একটু অ্যাগ্রেসিভ, কঠিন থাকতে হয়। সবাইকেই ঝাড়ি মারি (হাসি)।
প্রশ্ন : সিনিয়ররা অধিনায়কত্বে সাহায্য করে?
মুমিনুল : আপনি কীভাবে দেখেন জানি না। আমি ভারত সিরিজ থেকে যখন দায়িত্ব নিয়েছি, তখন থেকে আমি সিনিয়রদের কাছ থেকে শতভাগ অ্যাফোর্ট পাচ্ছি। মানে আজ পর্যন্ত, সো ফার আমি সিনিয়র ক্রিকেটারদের নিয়ে খুব হ্যাপি। ইভেন আপনি যদি মাঠে ফিল্ডিং দেখেন, অফ দ্যা ফিল্ড, অন দ্যা ফিল্ড আমি শতভাগ পাচ্ছি। ১০০ এর বেশিও বলা যায়।
প্রশ্ন : অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর চাপে থাকেন কী না?
মুমিনুল : আমি জানি না আপনাদের আমাকে দেখে কখনো আন্ডার প্রেশার মনে হয়েছে কি না। তবে আমার নিজের কাছে মনে হয় না। আমি সবসময় যে জিনিসটা আশা করি যে, যেটা আমি চেষ্টা করি যে, সবসময় আশাটা বড় রাখতে। আমি কোনো সময় আন্ডার প্রেশার ছিলাম না। শুরুর দিকে একটু খারাপ হলে আমি বিষয়টিকে সেভাবে দেখি না। কারণ, এটা হতেই পারে। যখন ভালো হবে, তখন আসতে আসতে ভালো হতে থাকবে। আমার কাছে উন্নতি করাটাও গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন : বিদেশের মাটিতে অধিনায়ক হিসেবে কেমন পারফর্মেন্স চান?
মুমিনুল : আমি সবসময় যে জিনিসটা চেষ্টা করছি যে, দেশেও যেমন টেস্ট জিততে চাই তেমন আমি স্বপ্ন দেখি বিদেশেও ভালো ক্রিকেট খেলব। সেই হিসেবে চিন্তা করলে আমাকে পেস বোলারদের বোলিং করাতে হবে, তারা বোলিং না করলে শিখবে না। আর এই কারণে হয়তো উইকেটটা সেভাবে তৈরি করা। এটা আসলে চ্যালেঞ্জ না। আমরা তৈরি ছিলাম যে এমন কিছু করতে পারব।
Development by: webnewsdesign.com