তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ভাষা আন্দোলন, মহান স্বাধীনতা সংগ্রামসহ প্রতিটি গণআন্দোলনে ছিলো বাংলা, বাঙ্গালি ও বাংলাদেশের অস্তিত্বের প্রশ্ন। বাঙালির রক্তস্নাত আত্মত্যাগের পথ পাড়ি দিয়ে জাতীয় জীবনে অর্জিত মাতৃভাষা ও স্বাধীনতা সংগ্রামী শহীদদের ঋণ শোধ করতে হবে। আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ বা ভাষা আন্দোলন সংঘটিত না হলেও দেশকে ভালোবাসার মধ্য দিয়ে এই নতুন প্রজন্মকে শহীদদের ঋণ শোধ করতে হবে।
আজ শুক্রবার সকালে নাটোরের সিংড়ায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রধানদের শপথ বাক্য পাঠ করানো শেষে তিনি এ কথা বলেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাসকে আড়াল করে রাখা হয়। স্বাধীনতাবিরোধী মৌলবাদী অপশক্তি দেশের রাজনীতিতে অভিষিক্ত হয় এবং পরবর্তী সরকারগুলোতে বিলীন হয়ে যায়। গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তারা মুক্তিযুদ্ধসহ বাঙালির গণআন্দোলনের প্রকৃত ইতিহাসকে আড়াল করে কয়েক প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করে। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ক্ষমা গ্রহণের পর থেকে বিকৃত ইতাহাসের কলঙ্কমোচন করে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরে।
তিনি আরো বলেন, আমরা অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়েছি। অনেক অপশক্তির চোখ রাঙ্গানি সহ্য করেই এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা দেশের মানুষকে উন্নত জীবন দিতে চাই। আমরা চাই প্রতিটি মানুষ তার ন্যূনতম মৌলিক অধিকার থেকে যেন বঞ্চিত না হয়। এ লক্ষে আমরা কাজ করছি।
এ ছাড়াও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আমরা দেশবাসীকে আরো বেশি সেবা দিতে চাই। এজন্য প্রতিটি সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরলসভাবে সেবার মানসিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে। কাজকে নিজের কর্তব্য মনে করতে হবে। দেশের প্রতিটি মানুষকে কাঙ্খিত সেবা পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে মুজিববর্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধা জানানো হবে।
অনুষ্ঠানে সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন আক্তার বানুর নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসনের ১৭টি দপ্তরের প্রধানগণকে শপথ পাঠ করান প্রতিমন্ত্রী।এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিংড়া পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব জান্নাতুল ফেরদৌস, সিংড়া থানার অফিসার ইনচার্জ নুর এ আলম সিদ্দীকিসহ বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ।
Development by: webnewsdesign.com