বিভিন্ন কারণে বিশ্ব ক্রিকেটের জন্য রোববার ছিল একটি ঐতিহাসিক দিন। এদিন প্রথমবারের মতো ইংলিশ ক্রিকেটের ইতিহাসে ইংলিশদের পক্ষে ম্যাচ খেলেছেন তিনজন মুসলিম খেলোয়াড়। অন্যদিকে পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশ ক্রিকেটে সমস্যায় পড়লেও দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমে আন্ডার ১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে নতুন এক ইতিহাস সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশ। তারা ডার্কওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে চ্যাম্পিয়ন ভারতকে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ট্রফি জিতেছে। পাকিস্তানের অনলাইন দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। এতে আরো বলা হয়, রোববারই রাওয়ালপিন্ডিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এ যাবতকালের সবচেয়ে কম বয়সী ক্রিকেটার হিসেবে হ্যাটট্রিক করেছেন পাকিস্তানের টিনেজ নাসিম শাহ। তিনি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তৃতীয় দিনের ম্যাচে সবচেয়ে কম বয়সী হিসেবে হ্যাটট্রিক করেছেন। আর টেস্ট ম্যাচের কথা তো না বললেই চলে।
টেস্ট ম্যাসে এমন কৃতীত্ব অর্জনকারী চতুর্থ পাকিস্তানি ক্রিকেটার নাসিম। এমন কাণ্ড দু’বার ঘটিয়েছেন গ্রেট বামহাতি পেসার ওয়াসিম আকরাম। অন্যরা হলেন আবদুর রাজ্জাক ও মোহাম্মদ সামি। ওদিকে রোববার দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে সৃষ্টি হয়েছে আরেক ইতিহাস। সেখানে তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ একদিনের ম্যাচে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে খেলে ইংল্যান্ড। এদিন প্রথমবারের মতো ইংলিশ ক্রিকেটের ইতিহাসে একসঙ্গে তিনজন মুসলিম খেলোয়াড় খেলেছেন। তারা হলেন ল্যাঙ্কাশায়ারের পেসার সাকিব মাহমুদ। মঈন আলী ও আদিল রশিদ। এর মধ্যে সাকিব মাহমুদের অভিষেক হয়েছে একদিনের ক্রিকেটে। এর মধ্য দিয়ে ইংলিশ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম তিনজন মুসলিম জায়গা পেলেন। তারা তিনজনই কাশ্মীরি বংশোদ্ভূত পাকিস্তানি। এর মধ্যে মঈন আলী বার্মিংহামের। আদিল রশিদ ব্রাডফোর্ডের। আর সাকিব মাহমুদ জন্মেছেন বার্মিংহামে। তবে তিনি বড় হয়েছেন ল্যাঙ্কাশায়ারের রোচডেলেতে। তিনি পাকিস্তানি অভিবাসী পিতামাতার ঔরসে জন্মেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ওই ম্যাচে দুই উইকেটে বিজয়ী হয়েছে ইংল্যান্ড। এর ফলে ম্যাচে ১-১ সমতা ফিরেছে। রোববারে দলের জয়ে ওই তিন মুসলিম খেলোয়াড়ের বড় ভূমিকা ছিল। প্রোটিয়ারা প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে স্কোর করে ৭ উইকেটে ২৫৬ রান। ইংল্যান্ডের পক্ষে বোলিং শুরু করেন পেসার সাকিব মাহমুদ। ৫ ওভার বল করে ১৭ রান দিয়ে তিনি একটি উইকেট শিকার করেন। সাকিবের প্রথম একদিনের ক্রিকেটে প্রথম শিকারে পরিণত হন দক্ষিণ আফ্রিকার রেজা হ্যান্ড্রিকস। অন্যদিকে গত বছর বিশ্বকাপ ক্রিকেটের পর প্রথমবারের মতো এক সঙ্গে খেলেন ইংল্যান্ডের স্পিন বোলার মঈন আলী ও আদিল রশিদ। তারা দু’জনেই ১০ ওভার করে বল করেন। এর মধ্যে ৪২ রান দিয়ে এক উইকেট শিকার করেন মঈন। অন্যদিকে আদিল রশিদ ৫১ রান দিয়ে শিকার করেন ৩ উইকেট।
ম্যাচের ৪৪ তম ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৫৭ রান সংগ্রহ করে বিজয়ী হয় ইংল্যান্ড। এতে জনি বেইরস্টো দ্রুততার সঙ্গে ৪৩ রান তুলে নেন। জো রুট এবং জো ডেনলি যথাক্রমে ৪৯ ও ৬৬ রান করেন। শেষের দিকে মাত্র ২০ রান সংগ্রহ করে দ্রুততার সঙ্গে ৪ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। কিন্তু শেষে খেলার স্টিয়ারিং নিজের হাতে তুলে নেন মঈন আলী এবং তিনি ১৭ রানের ঝুড়ি মাথায় নিয়ে জয় ঘরে তোলেন।
Development by: webnewsdesign.com