ন্যাশনাল এগ্রিকালচার টেকনোলজি প্রোগ্রাম’র (এনএটিপি-২) মাধ্যমে নিরাপদ ও বিষমুক্ত কাশ্মীরি আপেলকুল চাষ করে প্রথম বছরেই সাফল্য পেয়েছেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার নেউলা গ্রামের কৃষক হাফিজ উদ্দিন।
হাফিজ উদ্দিন বলেন, কৃষি বিভাগের সহযোগিতা ও পরামর্শে গত বছরের জুন মাসে ৪৫ শতক জমিতে ৮০ টি কাশ্মীরি আপেলকুল গাছ রোপণ করি এবং বাগানের মধ্যে সাথী ফসল হিসেবে উচ্চমূল্যের ফসল রসুন চাষ করি। চারা রোপণের মাত্র আট মাস পর এবারই প্রথম ফল এসেছে। একেকটি গাছে ফলও হয়েছে ৬-৭ কেজি। বাজারে এর মূল্য কেজিপ্রতি ৮০-১০০ টাকা। সেই কাশ্মীরি আপেলকুল বাজারজাত শুরু করেছি। বর্তমানে যে বাজারমূল্য পাওয়া যাচ্ছে তাতে অনেক লাভবান হতে পারব আশা করছি।
তিনি জানান, অল্প সময়ে এত ভালো ফলন দেওয়ায় এবং এটি সুস্বাদু ও আকর্ষণীয় রংয়ের কারণে বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা থাকায় এটি চাষাবাদে লাভবান হওয়া সম্ভব।
একই গ্রামের চাষী আবুল হোসেন বলেন, হাফিজ উদ্দিনের কাশ্মীরি আপেলকুল দেখে আমিও এবছর কুল চাষে আগ্রহী হচ্ছি। স্বল্প সময়ে যে ফলন হচ্ছে তাতে অনেক লাভবান হতে পারব।
খানসামা উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ আফজাল হোসেন জানান, এনটিপি-২ প্রকল্পের আওতায় কৃষককে কাশ্মীরি আপেলকুল চাষে উদ্বুদ্ধ করা হয়। কাশ্মীরি আপেলকুলের ফলন ও বাজারের চাহিদার কারণে ইতিমধ্যেই অনেক কৃষক বাগান করার ইচ্ছা পোষণ করেছেন। কৃষকরা যদি কৃষি বিভাগের পরামর্শে যথাযথভাবে এ জাতের কুল চাষ করেন, তাহলে দেশের কৃষিতে নতুন দিগন্তের সূচনা উন্মোচিত হবে।
Development by: webnewsdesign.com